চাঁদা না দিলে পুলিশ-সেনাবাহিনী দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়

Google Alert – সেনাবাহিনী

রাজধানীর গুলশানে একজন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, মো. সিয়াম, সাদমান সাদাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ এবং আমিনুল ইসলাম।

পুলিশ বলছে, চাঁদা না দিলে পুলিশ বা সেনাবাহিনী দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়। ভয়েই ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেন ভুক্তভোগী।

শনিবার (২৬ জুলাই) মধ্যরাতে এসব তথ্য জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আবু জাফর (সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী) নামে একজন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর বাসা থেকে গত ১৭ জুলাই ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা বলে পুলিশ বা সেনাবাহিনী দিয়ে গ্রেফতার করাবে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু জাফর আগে আওয়ামী লীগ করতেন।

এ সময় এই প্রবাসী জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। তিনি কোনো রাজনীতির মধ্যে এখন নাই, দেশে এসেছেন বেড়াতে। এরপরও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা নেয় চাঁদাবাজরা। এরপরও ভুক্তভোগী আবু জাফর পুলিশকে জানাননি।

এর দুইদিন পর বাকি ৪০ লাখ টাকা নিতে চাঁদাবাজরা ওই বাসায় আবার যায়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদের নেতৃত্ব ৪০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। এরপর আবু জাফর পুলিশকে জানালে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে পাঁচ চাঁদাবাজকে আটক করে।

আটকদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। যাচাই-বাছাই করে পরে জানানো হবে। আটকদের মধ্যে চারজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একজন একটি কলেজের শিক্ষার্থী।

চাঁদাবাজির ঘটনায় ওই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রুজু করা হবে বলেও জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান।

টিটি/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *