চীনা প্রযুক্তি ও কৌশলে ভারতের রাফাল ধ্বংস করে পাকিস্তান

Google Alert – সামরিক

চীনা প্রযুক্তি ও কৌশলে ভারতের রাফাল ধ্বংস করে পাকিস্তান

সংগৃহীত ছবি

চীনা প্রযুক্তি ও সমন্বিত যুদ্ধ কৌশলে বিধ্বস্ত হয়েছে ভারতের রাফাল। এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে রয়টার্স। যেখানে পাকিস্তান কীভাবে চীনা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল তা নিয়ে আছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে ইসলামাবাদের এমন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনে যুদ্ধে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি আলোচিত তার মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর হাতে ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের বিষয়টি।

৭ মে, ২০২৫। যে দিন পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ভারতের যুদ্ধবিমানের বহর। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটকের নিহতের অভিযোগে অপারেশন সিন্দুর নামে পাকিস্তান ভূ-খণ্ডে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। তবে তাদের সেই অভিযানে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি নয়াদিল্লি। ভোরের আলো ফুটতেই পাকিস্তানের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান। চীনের তৈরি ফাইটার জেট দিয়ে কীভাবে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। তা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

যেখানে বলা হয়, ভারতের ফাইটার জেট পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করা মাত্র ইসলামাবাদের অপারেশন রুমে বাজতে শুরু করে সতর্কবার্তা। যদিও যুদ্ধের আশঙ্কায় এর কয়েক দিন আগে থেকেই অপারেশন রুমের পাশেই ম্যাট্রেসে ঘুমাচ্ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির সিদ্দিকী।

ভারতকে রুখতে পাকিস্তান তাদের চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি আধুনিক যুদ্ধবিমান জে-টেন সি আকাশে ওড়ায়। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জাহির সিদ্দিকী সরাসরি রাফাল যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করার নির্দেশ দেন। ফ্রান্সে তৈরি রাফাল হচ্ছে ভারতের বিমানবহরের সবচেয়ে আধুনিক ও সক্ষম যুদ্ধবিমান, যা এখন পর্যন্ত কখনো কোনো যুদ্ধে ভূপাতিত করার রেকর্ড নেই।

ঘণ্টাব্যাপী এই যুদ্ধে অংশ নেয় দুই দেশের অন্তত ১১০টি যুদ্ধবিমান। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকাশ যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানায়, পাকিস্তানের জে-টেন সি কমপক্ষে একটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মহলে বেশ চমক তৈরি করে। প্রশ্ন ওঠে পশ্চিমাদের তৈরি এসব সামরিক প্রযুক্তির বিপরীতে চীনের তুলনামূলক নতুন অস্ত্র কতটা কার্যকর হতে পারে।

ঘটনার পরপরই রাফালের নির্মাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ডাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারের দর কিছুটা কমে যায়। এদিকে রাফালের ক্রেতা ইন্দোনেশিয়াও জানায়, তারা এখন চীনের জে-টেন সি যুদ্ধযান কেনার বিষয়টি নতুন করে ভাবছে।

তবে পাকিস্তান ও ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, এই আকাশযুদ্ধে রাফালের পরাজয়ের মূল কারণ প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নয়, বরং ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভুল বিশ্লেষণ। পাকিস্তানের জে-টেন সি থেকে ছোড়া চীনা পিএল-ফিফটিন মিসাইল সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল না ভারতের। ভারতীয় পাইলটরা ধরেই নিয়েছিলেন, মিসাইলটি ১৫০ কিলোমিটারের বেশি যেতে পারে না। তবে বাস্তবে পিএল-ফিফটিন প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূর থেকেও রাফালকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়াও পাকিস্তান একটি শক্তিশালী ‘কিল চেইন’ বা সমন্বিত যুদ্ধব্যবস্থা গড়ে তোলে, যা আকাশ, স্থল ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিকে সংযুক্ত করে একসঙ্গে ব্যবহার করে।

পাকিস্তানি জে-টেন সি যুদ্ধবিমানগুলো নিজস্ব রাডার বন্ধ রেখেও প্রতিপক্ষের এলাকায় প্রবেশ করে এবং লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। পাকিস্তান বলছে, ভারতের রাফাল ও সুখোয় যুদ্ধবিমানের সেন্সর ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক হামলার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।

যদিও ভারতীয় কর্মকর্তারা রাফালের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তারা স্বীকার করেন যে, কিছু সুখোয় বিমানে যোগাযোগের সমস্যা হয়েছিল এবং বর্তমানে সেগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতর থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর সরাসরি আঘাত না করার সিদ্ধান্ত নেয় যা এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এ সংঘর্ষের পর পাকিস্তান-চীন সামরিক সহযোগিতা নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ভারতের উপ-সেনাপ্রধান অভিযোগ করেন, যুদ্ধ চলাকালে চীন সরাসরি পাকিস্তানকে রাডার ও স্যাটেলাইট ফিড সরবরাহ করেছিল। যদিও ইসলামাবাদ ও বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

ভারত-পাকিস্তান এ যুদ্ধকে মূলত চীন ও পশ্চিমাদের প্রক্সি যুদ্ধ বলছে বিশ্লেষকরা। আসলে যুদ্ধে কে জয়ী হবে তা নির্ভর করে কে কত আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করল তার ওপর নয়। এ ছাড়াও এ ধরনের যুদ্ধক্ষেত্রে কার কাছে তথ্যভিত্তিক সঠিক কৌশল রয়েছে সেটিও অনেক গুরুত্ব বহন করে।

এমএইচ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *