Google Alert – সামরিক
চীনের হামলা মোকাবিলায় ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি তাইওয়ানের
বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় চলতি সপ্তাহে বার্ষিক ‘হান কুয়াং’ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে তাইওয়ান সরকার। দ্বীপটি ইতোমধ্যেই এমন এক লড়াইয়ের মুখে পড়েছে, যেখানে গুলি না ছুটলেও যুদ্ধ চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে ১০ দিন ও নয় রাত ধরে চলা সর্ববৃহৎ এই যুদ্ধ মহড়া তাইওয়ান এবং এর বাইরের দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে হবে। ২২ হাজারের বেশি রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করা হবে এবং এই মহড়া দ্বীপব্যাপী বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়ার সঙ্গে একযোগে পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ম্যাগাজিন নিউজউইক। প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে সংঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধির পটভূমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হান কুয়াং মহড়া। এটি একটি ফ্ল্যাশ পয়েন্ট, যা তাইওয়ানের ভবিষ্যত নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বড় যুদ্ধে টেনে আনতে পারে।
তাইপেইয়ের আপত্তি সত্ত্বেও চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাইওয়ানের রাষ্ট্রত্বকে স্বীকৃতি দেয় না, তবে কয়েক দশক ধরে চলমান এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকা রয়েছে। মার্কিন আইন অনুসারে তাইপেইকে সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেকে সশস্ত্র করতে সাহায্য করতে বাধ্য।
চলতি বছরে এই মহড়ার পরিমাণ ও পরিধি দ্বীপটির বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রতিফলন।
একই সঙ্গে, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধ থেকে পাওয়া কিছু শিক্ষা যেমন অসম শক্তির ব্যবস্থাপনা ও আঞ্চলিক প্রতিরক্ষার কৌশল, সেগুলো কাজে লাগানোর ইচ্ছাও এতে দেখা যায়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা প্রধান ওয়েলিংটন কু বলেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের হান কুয়াং মহড়ায় যোগদানের জন্য অতিরিক্ত সাত হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে আহ্বান জানাচ্ছে। যুদ্ধকালীন সময়ে রিজার্ভ সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে কত সময় লাগবে, তা মূল্যায়ন করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনীতে বর্তমানে মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজারের কিছু বেশি সদস্য রয়েছে, যেখানে চীনের স্থায়ী সেনাবাহিনীতে রয়েছে ২০ লাখেরও বেশি সৈন্য।
তুলনায় অনেক ছোট হলেও, তাইওয়ানের বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাগত ভূমিকা পালন করে।
এ বছর দ্বীপটির আশপাশে সামরিক মহড়া আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ধরে চলবে। এই মহড়ায় জীবন্ত গোলাবারুদ ব্যবহার করা হবে এবং এতে ‘ধূসর এলাকা’ পরিস্থিতি মোকাবিলার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে সরাসরি যুদ্ধ না হলেও উত্তেজনা থাকে। একই সঙ্গে, মহড়ায় অবতরণ ঠেকানোর যৌথ অভিযান ও দ্বীপের কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষার ঘাটতি দূর করার চেষ্টাও করা হবে।