Google Alert – সামরিক
নিজেদের আঞ্চলিক জলসীমা থেকে বিদেশি একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে ওই ট্যাঙ্কারের ১৭ নাবিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে ওই জাহাজ জব্দ ও সেটির ক্রুদেরে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী।
সোমবার (১১ আগস্ট) সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হরমুজগান প্রদেশের সীমান্তরক্ষী পুলিশ নৌবাহিনীর সহায়তায় ‘ফিনিক্স’ নামে একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে। ট্যাঙ্কারটি তৃতীয় একটি দেশের পতাকা বহন করে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ২০ লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানি চোরাইভাবে বহন করছিল। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ১৭ বিদেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা ডিজেলের বাজারমূল্য প্রায় ৭৫৯ বিলিয়ন রিয়াল (৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার)।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান সামুদ্রিক টহল ও আইন প্রয়োগ কার্যক্রম জোরদার করেছে, বিশেষত হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের পানিসীমায়। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় জ্বালানির দামের ব্যবধানের কারণে এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি পাচার একটি বড় সমস্যা।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌবাহিনী ১ লাখ লিটার পাচারকৃত জ্বালানি বহনকারী একটি ট্যাংকার আটক করে ও ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এর আগে আরেক অভিযানে ৩০ লাখ লিটারেরও বেশি ডিজেল বহনকারী দুটি ট্যাংকার আটক করে বুশেহর বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
জ্বালানিতে ভর্তুকি বেশি থাকায় ইরানে জ্বালানির দাম বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই জ্বালানি চোরাচালানের ঘটনা ঘটে। ইরানি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনকারী জাহাজ আটক করার ঘোষণাও দেয়।
আইআরজিসি নিয়মিতভাবে এমন জ্বালানি জব্দ অভিযানের খবর প্রকাশ করে, যা তাদের দাবি অনুযায়ী– আঞ্চলিক জ্বালানি পাচার দমন প্রচেষ্টার অংশ। এছাড়া ইরান কখনো কখনো সামুদ্রিক বিরোধ বা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রতিক্রিয়া হিসেবেও ট্যাংকার জব্দ করে থাকে।
সূত্র: এএফপি, আল অ্যারাবিয়া
এসএএইচ