Google Alert – সেনা
ছাত্রাবাসে টর্চারসেল, ৫ ব্যবসায়ী উদ্ধার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ২:৫৮ এএম (ভিজিট : ৭৪)
ছবি: সংগৃহীত
মাগুরা পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে গড়ে টর্চারসেল। এই সেলে আটকে রাখা পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন সেনা সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সদস্যরা রাত ১০টার দিকে সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাসে আটকে রাখা ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।
আটক শান্ত মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, টর্চারসেলে আটকে রাখা ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে। রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ী নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফেরি করে বিক্রি করত। গত ২১ মে মাগুরা এসে ইসতিয়াক আহমেদ শান্তর খপ্পরে পড়েন তারা। ইসতিয়াক হোসেন শান্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে আটকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু তারা নিজেদের আর্থিক অসংগতির কথা জানালে শান্ত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার দিনের বিভিন্ন সময়ে পালাক্রমে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, মাগুরার মহম্মদপুরে বাড়ি মহসিন নামে এক প্রবাসী ওই ছাত্রাবাসটির মালিক। হুরাইরা নামে সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছেলের মাধ্যমে তিনি ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সেটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে নেয়। মঙ্গলবার ওই পাঁচ ব্যবসায়ীকে জিম্মির পর তারা সেখানে সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চমাত্রায় মিউজিক চালিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করে যাতে কেহ বুঝতে না পারে। বুধবার রাতে ওই ছাত্রাবাস থেকে আটক ব্যবসায়ীদের ছাড়াও নানা ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন সেনা সদস্যরা। পরে রাতেই তাদের সদর থানা পুলিশের হস্তান্তর করা হয়।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
সময়ের আলো/এমএইচ