প্রথম আলো
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই ও আগস্টে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত-নিহত হন। শুধু তা–ই নয়, আন্দোলন চলাকালে তৎকালীন সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে এবং দেশে জরুরি অবস্থা চালু করে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান। পরে দেশজুড়ে ব্যাপক লুটপাট, অরাজকতা, বাড়িঘর ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, সংখ্যালঘু নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণপিটুনি, লাঞ্ছনা, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে থাকে। এমন অবস্থায় ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গণ–অভ্যুত্থান ছাড়াও চলতি বছরের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। বলা হয়, ২০২৪ সালের নির্বাচনী সহিংসতার অন্তত ৭৮১টি ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত ও ২ হাজার ৫৩৮ জন আহত হন। আর বছরজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৬৭ জন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩০৮টি। এসব ঘটনায় নিহত হন ১০ সাংবাদিক। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জন নিহত হন।