প্রথম আলো
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই গৃহবধূ বিদেশ গমনের লক্ষ্যে জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে (টিটিসি) তিন দিনের প্রশিক্ষণে ভর্তি হন। এ সময় অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ শেষে গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রুবেল তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মারধর করেন। মারধরের পর ওই দিন রাত নয়টার দিকে ওই গৃহবধূকে রুবেল তাঁর বন্ধু ফারুকের গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে রুবেল, ফারুক ও একরামুল তাঁকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে ওই নারীকে নলকূপের ঘরে ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরদিন সকালে ওই গৃহবধূ জ্ঞান ফিরে পেলে সড়কে এসে একটি ভ্যানযোগে জয়পুরহাট টিটিসিতে পৌঁছান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বামীকে ফোন করেন। বাসায় যাওয়ার পথে গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।