Google Alert – সামরিক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠলে ফাঁকা হয়ে যায় হলরুম। ছবি: রয়টার্স
“>
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠলে ফাঁকা হয়ে যায় হলরুম। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় তারা ওই ভবনে থাকলেও সভাকক্ষে ছিলেন না।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
নেতানিয়াহু যখন বক্তব্য দিতে মঞ্চে ওঠেন, তখন অনেক দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ (ওয়াকআউট) করেন। এতে সম্মেলন কক্ষের বড় একটি অংশ ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় হলের বাইরে টাইমস স্কয়ারে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন।
গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে ইসরায়েলের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
একই দিনে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গাজা ইস্যুতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই মানবিক বিপর্যয় সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে গাজায়। শিশুরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। হাসপাতাল ও স্কুলসহ পুরো এলাকা মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে আমরা একমত যে, আমরা একটি সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছি। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এটি থামাতে যথেষ্ট কিছু করছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বা ইতিহাস— কেউই আমাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।