জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের বাংলা একাডেমি ঘেরাও, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কবিতা’ সংকলন প্রত্যাহারের দাবি

Google Alert – সেনাপ্রধান

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কবিতা’ শীর্ষক সংকলন প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলা একাডেমি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির মূল গেটের সামনে সংগঠনটির প্রায় ২০ জন সদস্য জড়ো হন।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কবিতা’ নামক যে সংকলনটি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে প্রায় সাতাশটি কবিতা ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বলে অভিযোগ তোলেন তারা।

এই কারণে বাংলা একাডেমিকে এখনো ফ্যাসিস্টদের অভয়ারণ্য বলেও মন্তব্য করেন তারা।

তারা সংকলনের দুই সম্পাদককে তাদের দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা, ব্যর্থতা এবং ফেসবুকে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং এই সংকলন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়াও জুলাই চেতনা ধারণকারী কবিদের নিয়ে অবিলম্বে একটি সম্পাদনা পরিষদ গঠন করে নতুন করে লেখা আহ্বানের মাধ্যমে একটি সার্বজনীন ও গ্রহণযোগ্য সংকলন প্রকাশ করার দাবিও জানান তারা।

পাশাপাশি একাডেমিতে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আগামী সাত দিনের মধ্যে এই দাবি না মানলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনটির সভাপতি শাহীন রেজা বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আমাদের মননের প্রতীক, এর ঐতিহ্য ও গাম্ভীর্য নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। দেশের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ কবিদের বাদ দিয়ে এমন দুজন কবিকে সংকলনের সম্পাদনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে যারা কবি, কবিতা ও সম্পাদনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। এটি শুধু জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থী নয় বরং বাংলা একাডেমির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা।’

সংকলনের প্রধান সম্পাদক বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম। সংকলনটি সম্পাদনা করেছেন কবি রওশন আরা মুক্তা এবং হাসান রোবায়েত।

কর্মসূচি শেষে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের নিকট এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সদস্য শাহীন রিজভী। 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *