জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড খানা-খন্দে ভরা ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা। দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ছোট-বড় খানাখন্দগুলো।

জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরাতন কুমিল্লা মহানগরী হয়ে চলাচলকারী পুরাতন ট্রাঙ্ক রোডটির প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ ব্যবহারের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে অসংখ্য খানা-খন্দক,দেবে উচুঁ-নীচু হয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন নানা গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার কবল থেকে ধীর গতিতে পারাপারে বড় যানবাহন যেমন বাস,ট্রাক,মিনিবাস রক্ষা পেলেও প্রায়ই ছোট-খাটো যানবাহন উল্টে যাচ্ছে,কখনোবা বিকল হচ্ছে। আহত হচ্ছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এই বেহাল অবস্থা থাকলেও কালে ভদ্রে নামমাত্র ইট ফেলে খানাখন্দক ভরাট করলেও স্বল্প সময়ে আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে।

গত শতাব্দির ’৮০ দশকের মাঝামাঝি জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে আলেখারচর-পদুয়ারবাজার –সুয়াগাজী বাইপাস চালুর আগে সারাদেশের সাথে বৃহত্তর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ,পার্বত্য চট্টগ্রাম, ফেনী নোয়াখালী, লক্ষীপুরগামী সকল যানবাহন আলেখারচর হয়ে কুমিল্লা শহর দিয়ে সুয়াগাজী এলাকায় মহাসড়কের সাথে মিলিত হতো। যা সে সময়ে ট্রাঙ্ক রোড এবং বর্তমানে পুরাতন ট্রাঙ্ক রোড হিসেবে পরিচিত।

 সড়কটির নামের গুরুত্ব কমে গেলেও রাজধানী ঢাকা,সিলেট,সুনামগঞ্জ,মৌলভীবাজার,ব্রাহ্মনবাড়িয়াসহ জেলার কমপক্ষে ৮টি উপজেলাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে জেলা সদরের শাসনগাছা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬’শতাধিক বিভিন্ন পরিবহনের বাস,শত শত মাইক্রোবাস,প্রাইভেটকার,মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা,ইজিবাইকসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজ, ময়নামতি আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,ময়নামতি আর্মি মেডিকেল কলেজ,পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড),বেসরকারী ইষ্টার্ণ মেডিকেল,সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ,সিসিএন টেকনিকেল কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বহন করা প্রায় অর্ধ শতাধিক বড়,ছোট আকারের বাস, দেশের অন্যতম বৃহৎ কোমল পানীয় কোকাকোলা কোম্পানী, শফিউল আলম স্টীল কোম্পানীর অনেক ভারী ট্রাক মালামাল নিয়ে চলাচল করে।

মহাসড়ক থেকে কুমিল্লার পুরাতন ট্রাঙ্ক রোডে প্রবেশের পথ থেকে আলেখারচর, ময়নামতি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), আলেখারচর ঔষধ মার্কেট, দূর্গাপুর, দিঘীরপাড়, বাস মালিক সমিতি কার্যালয়ের সামনের অংশ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর সামনের অংশ,ভোলানগর, নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিসের সামনের অংশ ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও বড় বড়খানা-খন্দক,কোথাও উচু-নীচু কোথাও বা দেবে গেছে সড়কের অংশ বিশেষ। এতে উল্টে যাচ্ছে ছোট ছোট গাড়িগুলো। কখনোবা হচ্ছে বিকল। মাঝারি কিংবা বড় বাসগুলোও চলছে চরম ঝুঁকি নিয়ে হেলে দুলে। মাঝে মাঝে পাথরের সড়কটিতে ইটের ব্যবহার করে সংস্কার কোনভাবেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পারছে না।

এক,দুইদিন সময়ে আবারো সংস্কার করা স্থানের ইট-বিটুমিন উঠে যাচ্ছে,সৃষ্টি হচ্ছে খানা-খন্দক। স্থানীয় শাসনগাছা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত এশিয়া, রয়েল এসি , পাপিয়া, সততা,একতা,সোনালী,ফারজানা,ফারহানা, সুগন্ধাসহ একাধিক পরিবহনের বাস চালক কোন মন্তব্য করতে রাজী না হয়ে বলেন,আপনি যা দেখছেন,আমরাও সেটাই দেখছি। তারা আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই এই সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী । মাঝে মাঝে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। যানবাহন চালক বা যাত্রীরা কোন সেবা পাচ্ছে না।এই সড়কটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন।

সড়কটির সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন। আমরা নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছি, পাশাপাশি সংস্কার করার জন্য, বৃষ্টি বাদলের জন্য কাজ করা যাচ্ছে না।

ডিএস./

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *