জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক: ‘আমার সোনার বাংলা’ কীভাবে ও কেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো?

Google Alert – বাংলাদেশ

ছবির ক্যাপশান, ১৯৭১ পূর্ববর্তী বাংলাদেশে, অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত হিসেবে অনেক অনুষ্ঠানেই এই গানটি গাওয়া হতো

গত বছরের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর যেসব বিষয় পরিবর্তনের দাবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় তার মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানকালে আন্দোলনকারীদের এক পক্ষ জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আরেক পক্ষকে বাধা দেয়ায় ওই বিতর্ক আবার সামনে এসেছে।

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পক্ষের ব্যক্তিদের যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি বাংলাদেশ সৃষ্টির অনেক আগে রচিত হয়েছিল। আর বিপরীত পক্ষের ভাষ্য, এই গান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িত।

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি যখন চলমান, তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি কীভাবে ও কেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল, তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

আরো পড়তে পারেন:
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদীচী প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠান করে
ছবির ক্যাপশান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদীচী প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠান করে

যেভাবে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত হলো

‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে লিখেছিলেন বলে বিভিন্ন প্রবন্ধ ও লেখায় উঠে আসলেও এই গানটির মূল পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি বলে এই তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি – রবীন্দ্রনাথের জীবনীলেখক প্রশান্তকুমার পাল ১৯৯০ সালে প্রকাশিত বই ‘রবিজীবনী’তে এমনটাই লিখেছেন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *