জিমি কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামী ৯ জানুয়ারি

Bangla Tribune

প্রয়াত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামী ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ১০০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সেদিন জাতীয় শোক দিবস পালনের আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছর তিনি বলেছিলেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে স্তুতিবাক্য পাঠের জন্য বাইডেনকে অনুরোধ করেছিলেন কার্টার।  
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে কার্টারের বেড়ে ওঠার শহর প্লেইনসের মধ্য দিয়ে তার মরদেহ নিয়ে গাড়িবহরের ভ্রমণ শুরুর মাধ্যমে ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হবে। 

কার্টারের ছেলেবেলার ফার্মহাউজে গাড়িবহর কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নেবে। সেখানে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৩৯তম প্রেসিডেন্ট কার্টারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফার্মের ঐতিহাসিক ঘণ্টা ৩৯ বার বাজানো হবে। 

এরপর কার্টারের মরদেহ আটলান্টায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টারে ৭ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত তাকে বিশ্রামে রাখা হবে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। 

৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর সেদিনই জর্জিয়াতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে তার পরিবার। এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক আবহে অনুষ্ঠিত হবে।  
অবশেষে দীর্ঘদিনের নিবাস প্যারিসের একটি বাড়ির আঙিনায় স্ত্রী রোজালিন কার্টারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জিমি কার্টার।

ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ১৯৭৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন কার্টার। তার এক মেয়াদের প্রেসিডেন্সির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মধ্যস্থতা করা। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সামান্য হলেও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  

প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মানবিক সহায়তামূলক কাজে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন ৩৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কাজের প্রতি সম্মান জানাতে পরবর্তী সময়ে কার্টারকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ বৈশ্বিক নেতারা সহানুভূতিশীল, বিনয়ী ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত একজন নেতা হিসেবে জিমি কার্টারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *