জিম্মিরা মুক্ত না হলে গাজায় যুদ্ধ চলবে: ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

Google Alert – সেনাপ্রধান

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হলে যুদ্ধ বিরতিহীনভাবে চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। শুক্রবার গাজায় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা জানতে পারব, কোনও চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব কি না। যদি তা না হয়, তাহলে যুদ্ধ বিরতিহীনভাবে চলবে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, জামির গাজার এক কমান্ড সেন্টারে সেনা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার সময় ইসরায়েল থেকে মোট ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখনও ৪৯ জন গাজায় বন্দি আছেন এবং এদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এ সপ্তাহে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কয়েকজন জিম্মি শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল।

জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলা আলোচনা গত মাসে ভেস্তে যায়। এরপর থেকেই ইসরায়েলে অনেকেই কঠোর সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এদিকে, যুদ্ধের ২২ মাসে পা রাখা এই সংকটে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ যেমন বাড়ছে, তেমনি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভ ও দাবির মাধ্যমে সরকারকে আলোচনার পথে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছেন।

তবে জামির এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি নৈতিক বাহিনী। তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তুলে ধরার এই প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক ও প্রতারণামূলক।

তিনি আরও বলেন, গাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও দুর্ভোগের জন্য দায়ী হামাস। তারাই এই সংকটের মূল কারণ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থল অভিযানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ৮৯৮ জন সেনা নিহত হয়েছে।

এই হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ হাজার ৩৩২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। এই তথ্যকে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে।

 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *