জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড : একটি পর্যালোচনা

Google Alert – সেনাপ্রধান

১৯৮১ সালের ২৯ মে সকাল ১১টায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে শহরের কেন্দ্রস্থল কাজীর দেউরিতে অবস্থিত সার্কিট হাউসে উঠেন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার সঙ্গী হিসেবে দলের মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরী, উপপ্রধানমন্ত্রী জামালউদ্দীন আহমদ এবং মন্ত্রী ড. আমেনা রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। বিএনপির দুটি উপদলে বিভক্ত স্থানীয় নেতাদের বিরোধ মেটানোর জন্য মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে তিনি চট্টগ্রাম যান। দুপুরের খাবারের পর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা শুরু হয় এবং পুনরায় রাত ৮টার খাবারের পর সভা শুরু হয় এবং বৈঠক শেষে দু’তলায় নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে ২৯ ও ৩০ মে তারিখের মধ্যবর্তী রাত সাড়ে ৩টায় তিনটি সামরিক বাহনে ১৬ জন সেনা কর্মকর্তা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সার্কিট হাউসের দিকে রওনা দেন। মাত্র ৯ মিনিটের ঐ কিলিং মিশনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ নিরাপত্তা সদস্যদের হত্যা করেন। হত্যাকা-ের কারণ বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা বনাম পাকিস্তান ফেরত অমুক্তিযোদ্ধাদের রেষারেষি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, জিয়ার চেয়ে বড় আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা আছে কি? তাহলে তাকে হত্যা করা হলো কেন এবং কে বা কারা করল?

১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান এবং ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় মেজর জেনারেল এরশাদ উপসেনাপ্রধান পদে নিয়োগ পান। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল মঞ্জুর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ পদে আসীন হন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস এরশাদ পাকিস্তানে ছিলেন। জিয়াউর রহমান ও মঞ্জুর উভয়েই পাকিস্তান সামরিক একাডেমি কাকুলের ক্যাডেট ছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ফলে তাদের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্ক ছিল। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান ফেরত অন্য আর্মি অফিসারদের সাথে এরশাদ দেশে ব্যাক করেন এবং ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সেনাপ্রধান হন। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নিয়ে ৩ জুনে প্রেসিডেন্ট হন। অন্যদিকে মেজর জেনারেল মঞ্জুর তখন চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর ২৪তম ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন যে, জিয়া যেহেতু প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং তার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো, তাই তাকে এবার জিয়া সেনাপ্রধান করবেন। অন্যদিকে মেজর জেনারেল মীর শওকত আলী ছিলেন সিনিয়র এবং সিপাহী-জনতার বিপ্লবের সহযাত্রী। জিয়া চেয়েছিলেন আগে জেনারেল শওকত সেনাপ্রধান হোক পরে জেনারেল মঞ্জুর হবে। এ নিয়ে জেনারেল মঞ্জুর ও শওকতের মাঝে দ্বন্দ্ব ও বিরূপ মনোভাবের কারণে জিয়া প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণের পর সেনাবাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ দেন জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে। এমনকি জিয়া মেজর জেনারেল শওকতকে ঢাকায় রেখে মঞ্জুরকে চট্টগ্রামে জিওসি হিসেবে বদলী করেন। এতে জেনারেল মঞ্জুরের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার উপর জেনারেল মঞ্জুরের ক্ষোভের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। কিছু ঘটলে যাতে তার দায় জেনারেল মঞ্জুরের উপরই চাপানো যায়। সেনাবাহিনীতে অত্যন্ত মেধাবী, সাহসী ও চৌকস এবং দেশপ্রেমিক অফিসার হিসেবে জেনারেল মঞ্জুরের সুনাম ছিল।

তাঁর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে থেকে অবাধ্য ও উদ্ধত আচরণে বলিয়ান হয়েছেন সিনিয়র স্টাফ অফিসার কর্নেল মতি এবং কর্নেল মাহবুব (যিনি আবার জেনারেল মঞ্জুরের শ্যালক)। ৩০ মে এই দুজন অফিসারের নের্তৃত্বে সেনা সদস্যরা যখন জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত অফিসার ও সেনাসদস্যদের সাথে গোলাগুলি শুরু করেন, তার এক পর্যায়ে জিয়া তার কক্ষ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তখন কর্নেল মতি ব্রাশ ফায়ার করে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করেন। কর্নেল মতি-মাহবুব জুটি যে জিয়া হত্যার চেষ্টা করছে, তা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সকল সদস্যই জানতেন, কেবল এ কথা জেনারেল মঞ্জুরের মতো একজন বুদ্ধিমান অফিসার জানতেন না, এটা বোঝার জন্য বিজ্ঞ চিন্তক হওয়ার দরকার নেই! জেনারেল মঞ্জুর যে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে অপছন্দ করতেন, তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকলেই জানতেন। অজ্ঞাতে তৈরি করেছেন মতি-মাহবুবদের মতো দানব, যারা হয়তো পারপাস সার্ভ করেছে অন্য কারও। ঘটনা ঘটতে দেয়া, দানা বাঁধতে দেয়ার দায় কি জেনারেল মঞ্জুর এড়াতে পারবেন? সাংবাদিক সালিম সামাদকে তো এই মতি-মাহবুবরাই অপহরণ করেছিল? জেনারেল মঞ্জুর কেন এদের থামালেন না? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকায় এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেননি, নাকি কর্নেল মতির উপর সেনাসদরের কারো আশীর্বাদ ছিল? এই বিষয়ে সাংবাদিক আনোয়ার কবির তার ‘সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা: ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১’ বইয়ের ১৮৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে, প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকা-ের দিন কয়েক আগে কর্নেল মতি ঢাকা সেনানিবাসে সেনাপ্রধান এরশাদসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই কর্নেল মতিই কিন্তু জিয়াকে ওয়ান-টু-ওয়ান গুলি করে। সামরিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, যদি জিয়া হত্যাকা-ে জেনারেল মঞ্জুর জড়িত থাকেন তবে বিচারের সম্মুখীন না করে কেন তাকে ঢাকা থেকে পাঠানো একজন ব্রিগেডিয়ার দিয়ে ঠান্ডা মাথায় সেনা ব্যারাকে হত্যা করা হলো? সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত কর্নেল মতি-মাহবুবদের কে হত্যা করল বা নিজেরাই কেন সুইসাইড করল? অতি দ্রুততার সাথে জেনারেল মঞ্জুর-মতি-মাহবুবদের হত্যা কি পিছনে জড়িতদের আড়াল করতেই করা হয়? পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের পিএস কর্নেল মাহফুজ ও ব্রিগেডিয়ার মহসিনের ফাঁসি কার্যকর করা কি ছিল অনেক সত্য লুকানোর চেষ্টা? কিছু তথ্য হয়তো সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্ত লেফটেনেন্ট মোসলেহউদ্দিন বেঁচে থাকলে দিতে পারেন।

মুক্তিযুদ্ধে দেশের ভেতর থেকে যেসব আর্মি অফিসার যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদেরকে ২ বছরের সিনিয়রিটি প্রদান করা হয়। ফলে পাকিস্তান ফেরত অনেক আর্মি অফিসার, বয়সে সিনিয়র ও প্রফেশনাল থাকা সত্ত্বেও জুনিয়র হয়ে পড়েন। বস্তুত অমুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সবক্ষেত্রে প্রায়োরিটি চেয়েছেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের মধ্য থেকেও দায়িত্ব দিতে হতো। পেশাগত অভিজ্ঞতা ও যোদ্ধাভিজ্ঞতা, একটি অন্যটির সমকক্ষ নয়। তাই ঢালাওভাবে অমুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার বিরোধিতা করা বা সর্বদা মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্র্ণ দায়িত্ব দেয়ার দাবি অযৌক্তিক। মেজর হাফিজ তার বইয়ে স্বীকার করেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধা (সবাই নয়) অনেক নিয়মিত সেনা-সদস্যের মননে, প্রফেশনাল আচরণে তীব্র পরিবর্তন নিয়ে আসে, যেখানে তারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নিজেদের মতামত দেয়া প্রয়োজনীয় মনে করতেন। বস্তুত প্রেসিডেন্ট হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন যেন না হয় জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নিঃশেষ করেছে, আমাদের কাছে যা মুক্তিযোদ্ধা নির্মূল মনে হচ্ছে। এ প্রসংগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যটি পরিস্কার, ‘দুই পক্ষই (মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা) তার পতন চেয়েছে, এক পক্ষ কাজটা করেছে, লাভ গেছে অন্য পক্ষের ঘরে। দাবার চালে একদল জিতেছে, অন্য দলটি হেরেছে।’ মূলত: চতুর এরশাদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরিকল্পনামত চট্টগ্রামে নিতে ব্যর্থ হয়েই, মুক্তিযুদ্ধা পক্ষ হেরে যায় অমুক্তিযোদ্ধা পক্ষের কাছে। এখানে চেতনা-দেশপ্রেম ইস্যু কিছুই না। প্রচলিত আছে যে প্রেসিডেন্টের পিএস কর্নেল মাহফুজকে বিনা অপরাধে, অনেক সত্য লুকাতে ফাঁসি দেয়া হয়। সত্য লুকাতে হতে পারে, কিন্তু বিনা অপরাধে কি? মহিউদ্দিন আহমেদের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম: শান্তিবাহিনী, জিয়া হত্যাকা-, মঞ্জুর খুন’ বই বলে অন্য কথা। ১৯৮১ সালের মার্চে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরে যান, সেখানে সাংবাদিক সালিম সামাদ ছিলেন, যাকে এক পর্যায়ে কর্নেল মতি ইংগিত দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে আর দেখা নাও হতে পারে। প্রেসিডেন্ট সফর শেষে বিশ্রামে গেলে বয়স ও পেশাগত কারণে সাংবাদিক সালিম সামাদ এ ব্যাপারে আরও তথ্যানুসন্ধান করেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল নওয়াজেশ, মতি ও মাহফুজ। এদের সামনেই সালিম সামাদের সাথে আলোচনায় প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়া যায় কিনা, দিলে কী হবে তা নিয়ে আলাপ হয়। লক্ষনীয় হলো, এই সময় প্রেসিডেন্টের পিএস কর্নেল মাহফুজের উপস্থিত থাকা। কর্নেল মতির সন্দেহ হয়, সালিম সামাদ হয়তো প্রেসিডেন্ট জিয়াকে তাদের পরিকল্পনা জানিয়ে দেবেন। তাই কর্নেল মতির নেতৃত্বে অপহরণ করে সাংবাদিক সাহেবকে। যদিও মঞ্জুরের মধ্যস্থতায় তার জীবন রক্ষা পায়। এতে প্রমাণিত হয়, জিয়া হত্যার পরিকল্পনা অনেক দিনের এবং প্রেসিডেন্টের আশেপাশের লোকজন একাজে জড়িত ছিল। কর্নেল মাহফুজ সব জানতেন এবং সেনানিবাসের অনেকেই এসব ব্যাপারে জানতেন। কারণ, মতি-মাহবুব চক্রের জিয়া বিরোধিতা গোপন কিছু ছিল না, তারপরেও তারা বহাল তবিয়তে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্নেল নওয়াজেশও সংশ্লিষ্ট ছিলেন তা স্পষ্ট। ব্রিগেডিয়ার মহসীন উদ্দিন আহমেদের ক্ষেত্রেও বলা হয়, তিনি নির্দোষ ছিলেন, হত্যাকা- সংঘটিত হওয়ার সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে তার আপন ছোটো ভাই লেফটেনেন্ট মোসলেহউদ্দিন সরাসরি কিলিং মিশনে ছিলেন।

এসব কিছুর ভেতর রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয় না। কিন্তু এত বড় ঘটনা কি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সংঘটিত হয়? ’৭৫-এ রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা লেগেছে সামরিক কর্মকা-কে চূড়ান্ত পরিণাম ও স্থিরতা দিতে। ’৮১-এর প্রেক্ষাপট যদিও ভিন্ন ছিল, যেখানে মূলধারার রাজনীতিবিদ বা সংগঠনগুলো দুর্বল ছিল, তারপরও বিদ্রোহ পরবর্তী পক্ষে-বিপক্ষে টানাটানির খেলায় নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে রাজনৈতিক সংগঠন বা ব্যক্তিদের জড়িত করাই স্বাভাবিক। সেখানে অমুক্তিযোদ্ধা অংশের চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা অংশের রাজনৈতিক শেল্টার খোঁজা সহজ ছিলো। এখানে এমন কিছু হয়েছে কিনা তার ইংগিত কিছুটা হলেও পাওয়া যায় কিছু বইয়ে। লেখক-সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ তার অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর কাছে। তিনি বলেন, ‘জিয়া নিহত হয়েছিলেন তার প্রিয় সহকর্মী ও অনুগতদের হাতে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না।’ অন্যদিকে জিয়ার মৃত্যু নিয়ে তার অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে উদ্ধৃত করে গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, ‘যাদের উপর জিয়া বেশি নির্ভর করেছিলেন, তারা যদি তাদের আনুগত্য বজায় রাখতেন, তাহলে জিয়ার এ রকম মর্মান্তিক পরিণতি হতো না।’ জিয়ার সফরসঙ্গী ছিলেন বি. চৌধুরী, নাজমুল হুদা, ড. আমিনা রহমান এবং সারওয়ারী রহমান। বি চেীধুরী বাদে বাকী সবাই ওই রাত্রে সার্কিট হাউস ছেড়ে তাদের আত্মীয়দের বাসায় চলে যান। তার থাকার ব্যবস্থা ছিল জিয়ার পাশের কক্ষে। জিয়া হত্যার সময় পাশের কক্ষে থাকার পরও চৌধুরীর দরজায় টোকাও পড়ল না। অথচ, জিয়া ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন! গুলিবিদ্ধ লাশ সিঁড়িতে রেখে তিনি তড়িগড়ি করে সেখান থেকে সরে পড়েন। তিনি জিয়ার জানাজায় অংশ নেননি! প্রেসিডেন্ট হয়ে শহীদ জিয়া বলতে অপারগতা ও চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর জিয়ারত করতেও যাননি! এসব আচরণ অন্য কিছুর ইংগিত কি দেয় না? প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই মাল্টি ফ্যাক্টোরিয়াল হত্যাকা-টির সাথে জড়িত খুনিদের ‘ইতিহাস’ তার প্রয়োজনেই বের করবে!

লেখক: গবেষক ও অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *