Samakal | Rss Feed
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ১ বছরে অনেক অর্জন হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্যান্য
সমকাল প্রতিবেদক <time class="op-modified" dateTime="2025-08-07"2025-08-07
2025-08-07
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমরা কাঠামোগত সংস্কার করে একটি পর্যায়ে উপনীত হতে পারবো, যার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দেশকে সুষ্ঠু অর্থনীতি ও বৈষম্যহীন যাত্রায় অগ্রসর করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ স্বল্প সময়ে শতভাগ বাস্তবায়ন করা না গেলেও উপযুক্ত রোডম্যাপ নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। কীভাবে আরও ভালো পারফর্ম করা যায়, একটা ভালো নির্বাচন ডেলিভার করা যায়- এ ব্যাপারে সব উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
জুলাই-পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা বাজারব্যবস্থায় সিন্ডিকেশন নির্মূল করতে পেরেছি। টিসিবির কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পেরেছি। এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমাদের ম্যাক্রো ইকনোমিতে ব্যালেন্স সারপ্লাস, আমাদের ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে আমরা সারপ্লাস, রিজার্ভ যেটা সম্ভবত ১০ বিলিয়নে নেমে গিয়েছিল সেটা এখন ৩০ মিলিয়নে উঠে এসেছে। রপ্তানি বিগত ৩২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণেও আমাদের অগ্রগতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং আমরা যে সমন্বিতভাবে, সমস্বরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে না বলতে পেরেছি; তার জন্য আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে। ছোট্ট শিশু প্রিয়া গোপ থেকে ইয়ামিনকে জীবন দিতে হয়েছে। জুলাই আগস্টে আরও যে স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে তা অবর্ণনীয়। সেই দায়বোধ থেকে জুলাইকে স্মরণ করতে এসেছি, আরও বেশি জানতে এসেছি।
বিশেষ অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো দুইজন ‘জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণ’, ‘শোন মহাজন’, ‘টেস্টিমনি অব মার্টায়ার্স ফ্যামিলি’ ও ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা তথ্যচিত্র প্রদর্শন’, ‘জুলাই কেন্দ্রিক গীতি আলেখ্য ও আলোচনাসভা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের তাৎপর্যকে হৃদয়ে ধারণ করে যদি আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা যায়; তবেই আমরা বৈষম্যহীন, মানবিক ও কল্যাণমূলক এক টেকসই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বিগত সতেরো বছর ক্রণিক ক্যাপিটালিজম হয়েছে। কতিপয় মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ কাঠামো, ন্যায়ভিত্তিক নীতি কাঠামো ও ন্যায়ভিত্তিক আচরণ প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সায়লা আক্তার শশী জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।