জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করে বয়কট হওয়া জাবির পেলেন ছাত্রদলের পদ

jagonews24.com | rss Feed

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সহপাঠীদের দ্বারা বয়কট হওয়া এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এই কমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছেন আহমেদ জাবির মাহাম, যাকে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা বয়কট করেছিল।

কমিটি ঘোষণার পর আহমেদ জাবিরের একটি পুরোনো মন্তব্য ভাইরাল হয়, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘সারা বাংলায় খবর দে, এক দফার কবর দে’। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হুসাইন সাদ্দামের সঙ্গে তার একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

গত বছরের ২ আগস্ট আহমেদ জাবিরকে তার নিজ বিভাগ, ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বয়কট করে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেয়।ওই বিবৃতিতে তারা জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলকে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ও ভবিষ্যতেও থাকার কথা ঘোষণা দেওয়ার ও পরোক্ষভাবে হামলাকারীদের পক্ষপাতিত্ব করায় আমরা বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট ঘোষণা করছি।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এ ঘোষণা আসার পর মাহাম তার দলীয় অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানায় যে, বিভাগ তাকে বয়কট করলে তার কিছু যায় আসে না, কারণ তার ঊর্ধ্বতন অভিভাবকরা তাকে দেখভাল করবেন। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ভবিষ্যতে সে তাদের সঙ্গে কোনো ক্লাস, পরীক্ষা বা বিভাগের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। যদি সে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেয়, তবে বাকি শিক্ষার্থীরা সেটি থেকে বিরত থাকবে।

আহমেদ জাবির মাহামের সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে বয়কট করি কিন্তু আমরা অনলাইনে দিতে পারিনি। ইন্টারনেট আসার পর আমরা সেটা পোস্ট করি।

তিনি বলেন, পরবর্তীততে তাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাস করার জন্য শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে বারবার মিটিং করে কিন্তু আমরা রাজি হয়নি। একদিন সে ক্লাসে আসলে, আমরা সবাই বেরিয়ে যাই। পরে শিক্ষকদের অনুরোধ এবং জাবির আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে ক্ষমা চাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আশরাফুল আরও বলেন, জাবিরের নাম সুনামগঞ্জের সংসদীয় আসন ৪-এর ছাত্রলীগের দেওয়া সংসদীয় আসনভিত্তিক সমন্বয়ক কমিটিতেও ছিল। সেখানে সে নির্বাচনি কাজ করেছে। আমরা এমনও শুনেছি, হাসিনা পালানোর পরও জাবির ছাত্রলীগের পোস্টে কমেন্ট করে। এখন ছাত্রদলের কমিটিতে তার নাম দেখে হাস্যকর লাগছে।

অভিযোগের বিষয়ে আহমেদ জাবির মাহামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন জাগো নিউজকে বলেন, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে যারা আমাদের প্রাথমিক সদস্য পদ পূরণ করে আমাদের সঙ্গে থেকেছে এবং অভ্যুত্থানের আগেও আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো, তাদেরকে আমরা কমিটিতে রাখার চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি কেউ পরিচয় গোপন করে থাকে তাহলে আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

এফএআর/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *