জুলাই আন্দোলনের হামলা মামলার আসামি পেলেন ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা

RisingBD – Home

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা পেয়েছেন ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শেখ ফয়েজ আহমেদ। ‌গত ৩ আগস্ট তাকে এই সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। তাকে সম্মাননা দেওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। 

শেখ ফয়েজ আহমেদ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি। তিনি সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত। তিনি নিজেকে সাপ্তাহিক বাংলা সংবাদ ও চ্যানেল এসের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন। 

ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর শেখ মুজাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শেখ ফয়েজ আহমেদ ৯৭ নম্বর আসামি। এটিই ফরিদপুরে আন্দোলন সংক্রান্ত একমাত্র মামলা। 

গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তিনি সম্মাননা পান। সম্প্রতি বিষয়টি তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে জানান। সেখানে তিনি জানান, ২০২৪ সালে সাংবাদিকতায় সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও চেক দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার (১৩ আগস্ট) আবরার নাদিম, কাজী রিয়াজ, সোহেল রানা, মাহমুদুল হাসানসহ জুলাই আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল জেলার জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত সম্মাননা জানানোর ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা সম্মাননা প্রত্যাহার করে প্রকৃত সাহসী সাংবাদিকদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব পিয়াল বলেন, “এই ঘটনা জুলাই আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালনকারী সাংবাদিকদের প্রতি অবমাননা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

রাইজিংবিডি ডটকমের কাছে শেখ ফয়েজ নিজের পক্ষে জানান, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পরই তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

জেলার জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, তিনি এই সম্মাননা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নন এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, “ফরিদপুর থেকে শেখ ফয়েজই একমাত্র আবেদনকারী ছিলেন। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কিছু ঘাটতি থাকায় এমনটি হয়েছে।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *