Bangla Tribune
প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দ্বিতীয় পর্যায়ে গঠিত পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রধানরা। রবিবার (৩ জুলাই) এক যৌথ চিঠিতে তারা এ আহ্বান জানান।
চিঠিতে তারা বলেন, প্রথম পর্যায়ের ৬টি বিষয়ভিত্তিক কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ সময়োপযোগী হলেও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কারগুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এখনই দুটি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত কার্যকর করা, নির্বাচনের পর গঠিত সরকার এসব সংস্কার অব্যাহত রাখবে—এ মর্মে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়া এবং বিষয়গুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করা।
চিঠিতে কমিশন প্রধানেরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জুলাই সনদে গণমাধ্যম, নারী, শ্রম, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার-বিষয়ক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত না হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো তা বাতিল বা উপেক্ষা করার সুযোগ পাবে, যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তারা স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শ্রমিক, নারী ও সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের প্রতিফলন সংস্কার কার্যক্রমে না থাকলে তা হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে।
চিঠিতে পাঁচ কমিশনের প্রধানরা তাদের ওপর সংস্কার প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চিঠিতে সই করেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।