জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্রেমলিন

Google Alert – সামরিক

ইউক্রেইনের যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য আবার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ক্রেমলিন পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাবটিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত শুক্রবার আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এরপর সোমবার হোয়াইট হাউজে তিনি সাত ইউরোপীয় নেতা ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই দুই বৈঠকের পর ট্রাম্প পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি একটি বৈঠকের আয়োজন করার তোড়জোড় শুরু করেছেন।


বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেইনের সংঘাত সমাধান করা ‘একটি কঠিন বিষয়’ বলে স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সংঘাত শেষ করতে আগ্রহী নাও হতে পারেন বলে মেনে নিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, “আমরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিষয়টি জানতে পারবো। এমনও হতে পারে যে তিনি কোনো চুক্তি করতে চান না।”


তেমনটি হলে পুতিন ‘কঠিন পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে কী ধরনের ‘কঠিন পরিস্থিতি’ তা বিস্তারিত জানানি তিনি।


মঙ্গলবার রাতে রেডিও ‘টক শো’-র রক্ষণশীল হোস্ট মার্ক লেভিনকে ট্রাম্প বলেছেন, পুতিন ও জেলেনস্কি তাকে ছাড়াই বৈঠক করলে ‘সেটি আরও ভালো হবে’।


তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়’ তাহলে এই দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তিনি; তবে বৈঠকে ‘কী হয়’ তা দেখতে চান তিনি।


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোমবার ট্রাম্পকে বলেছিলেন, ইউক্রেইনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ধারণাটি নিয়ে তার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পরদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইতোমধ্যে অনিশ্চিত হয়ে ওঠা ওই প্রতিশ্রুতিকে আরও দুর্বল করে দেন।


ক্রেমলিনের নিয়মিত ধারার পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, “যে কোনো বৈঠকের জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রথমে বিশেষজ্ঞ পর্যায় দিয়ে শুরু করে তারপর প্রয়োজনীয় সকল ধাপের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে।”


জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বিবিসিকে বলেছেন, “কেউ সরাসরি আলোচনার সুযোগকে প্রত্যাখ্যান করছে না। কিন্তু শুধু একটা বৈঠকের জন্য বৈঠক হওয়া উচিত না।”


বুধবার ইউক্রেইন নিয়ে নেটোর সামরিক প্রধানরা একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সময় যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল টনি রাডাকিন ইউক্রেইনে একটি ‘প্রতিশ্রুত বাহিনী’ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটন গিয়েছেন।


মঙ্গলবার বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, পুতিন ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন যে জেলেনস্কি আলোচনা করার জন্য মস্কোও যেতে পারেন। কিন্তু এ প্রস্তাব ইউক্রেইন কখনোই গ্রহণ করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা ইউক্রেইনে চাপে ফেলার রাশিয়ার একটি কৌশলও হতে পারে।


গত কয়েকদিনে যেসব আলোচনা হয়েছে তাতে ইউক্রেইন যুদ্ধের জটিলতা এবং মস্কোর দাবি ও কিইভের অবস্থানের মধ্যে যে বিশাল ফারাক রয়েছে, তা সম্ভবত ট্রাম্প আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *