ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিতে চিঠি

RisingBD – Home

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ‘অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা’র জন্য তাকে এই পুরস্কার দিতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি বাডি কার্টার।

নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির কাছে পাঠানো চিঠিতে বাডি কার্টার লিখেছেন, ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান এবং একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত এড়াতে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

চিঠিতে কার্টার বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রেখেছে।”

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে কার্টার এসব কথা বলেছেন। যদি ইরান বারবার এমন সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সন্ত্রাসবাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রক ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।

ট্রাম্প সোমবার রাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে এটি কার্যকর হয়; যদিও উভয় দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। অবশ্য মঙ্গলবার দুপুরের পর আর অভিযোগ আসেনি দুই দেশের কাছ থেকে।

এর আগে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ভয়ংকর হামলা চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিন ধরে রকেট হামলা চলতে থাকে।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। ইরান পাল্টা জবাবে কাতারে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে; যদিও আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল এবং কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সংকটের সময়ে ট্রাম্পের দৃঢ় পদক্ষেপের প্রশংসা করে বাডি কার্টার বলেন, “তার প্রভাব দ্রুত একটি চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা অনেকের কাছেই অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল।” 

তিনি আরো বলেন, “ট্রাম্পের প্রচেষ্টা নোবেল শান্তি পুরস্কার যে আদর্শগুলোকে স্বীকৃতি দেয়- শান্তির অন্বেষণ, যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির অগ্রগতি, তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।”

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে তার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের বৈশ্বিক প্রভাবকে তুলে ধরে চলতি বছরের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি ড্যারেল ইসা ট্রাম্পের জন্য মনোনয়ন জমা দেন।

নোবেল পুরস্কারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য বর্তমানে ৩৩৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। 

জর্জিয়া থেকে সিনেট পদপ্রার্থী কার্টার ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি এর আগে ট্রাম্পের পক্ষে প্রতীকী কিছু আইন প্রস্তাব করেছিলেন, যার মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘রেড, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু-ল্যান্ড’ রাখার প্রস্তাবও ছিল।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখনো তীব্র। মঙ্গলবার ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে; তবে তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আনুষ্ঠানিকভাবে নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিতে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ’- এর জন্য তাকে শান্তি পুরস্কার দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *