ট্রাম্পের নির্দেশ খারিজ আদালতে – DW – 05.09.2025

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান বিরোধী দলের ইস্তাম্বুল প্রধানকে বহিষ্কার করলো তুরস্কের আদালত

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলু এবং সিএইচপি দলের ইস্তানবুল প্রদেশের প্রধান ওজুর চেলিক (ফাইল ছবি)
সিএইচপি দলের সদস্য ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে (বামে) এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সিএইচপির ইস্তানবুলের প্রাদেশিক চেয়ারম্যান ওজুর চেলিক এবার দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার হলেন (ফাইল ছবি)ছবি: Murad Sezer/REUTERS

অনিয়মের অভিযোগে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি -সিএইচপি-র ইস্তাম্বুল প্রদেশের প্রধান ওজুর চেলিককে বরখাস্ত করেছে তুরস্কের একটি আদালত। দলটির ১৯৫ জন নেতা এবং প্রতিনিধিদেরও বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের বিরোধীদের ওপর এটি সবশেষ বিচারিক আঘাত।

ইস্তাম্বুলের আদালত রায় দিয়েছে, ২০২৩ সালে সিএইচপি দলের ইস্তাম্বুল প্রাদেশিক কংগ্রেসে প্রতিনিধিদের ভোট নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে প্রভাবিত করা হয়েছিল। এই কংগ্রেসে নির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের অপসারণ করা উচিত বলেও রায় দিয়েছে আদালত।

রায়ের একটি অনুলিপি দেখে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে “ইস্তাম্বুল প্রাদেশিক কংগ্রেসে গৃহীত সমস্ত সিদ্ধান্ত” স্থগিত করেছে আদালত।

সিএইচপির সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যান গুরসেল তেকিনকে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। এই রায়ের ফলে তুরস্কের শেয়ারবাজারেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

ইস্তানবুলের আদালতের রায় আংকারায় আরেকটি আদালতে চলমান মামলার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই মামলার রায়ে সিএইচপি নেতা ওজুর ওজেল তার দলীয় প্রধানের পদ হারাতে পারেন। ২০২৩ সালে দলের ৩৮তম সাধারণ কংগ্রেসের ফলাফলে প্রক্রিয়াগত অনিয়মের অভিযোগে দলীয় প্রধানের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করার রায় দিতে পারে আংকারার আদালত।

সেই কংগ্রেসেই কামাল কিলিচদারোলুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ওজেল। সেই বছরের শুরুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এর্দোয়ানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন কিলিচদারোলু।

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের উপর এক অভূতপূর্ব দমন-পীড়নের মধ্যেই মঙ্গলবারের রায়টি এলো। দেশব্যাপী বিরোধী দমনের অংশ হিসাবে এর্দোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুসহ ১৫ জন মেয়রকে আটককরা হয়েছে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সিএইচপি দলের নির্বাহী কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে আংকারায় একটি জরুরি সভা ডেকেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় চেলিক বলেছেন, “প্রক্রিয়াটি অনুসরণ এবং পরিচালনা করার জন্য” দলের ইস্তানবুল সদর দপ্তরে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “রিপাবলিকান পিপলস পার্টি জনগণের বাড়ি। এটি দখল করা যাবে না!”

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *