চ্যানেল আই অনলাইন
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে তাদের কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে কি-না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ শুক্রবার বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে এখনো ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মেহের আফরোজকে সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এই দুই অভিনেত্রীকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই অভিনেত্রীকে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
ডিবির একটি সূত্র বলছে, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা তাদের নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহের আফরোজ শাওন এবং একই দিন মধ্যরাতে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া মেহের আফরোজ শাওন ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হতে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তার মা তহুরা আলীও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শাওন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী।
এদিকে সোহানা সাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গত বছর জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সোহানা সাবাসহ শিল্পীদের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন।আন্দোলনে সরকার পতনের পর ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বার্তার কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী।