Google Alert – ইউনূস
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সবার বন্দুক কাঁধে নিলে হবে না। ওনাকে জুলাই আন্দোলনের বন্দুকটা হাতে নিতে হবে। ওনার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কিংবা প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থায় যেতে হবে। কারণ এই প্যাটার্নে নির্বাচন করলে তা সুষ্ঠু হবে না। এটা নিয়ে প্রচুর আন্দোলন হবে, বিশৃঙ্খলা হবে তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। এই সরকার আমাদের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের সরকার, সুতরাং এর দায় সব মানুষের ওপরই বর্তাবে।
তিনি বলেন, খুবই মজবুত একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তাতে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো থেকে সরাসরি লোক নেয়া প্রয়োজন, নির্বাচন নিজেই একটা সংস্কার, ওই নির্বাচনটা যদি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করা যায়, তাহলেও মানুষ মনে করবে একটা কিছু হয়েছে। এটা না হলে অনেক উপদেষ্টা দায় না নিয়ে বিদেশ চলে যাবে, ফলে বাংলাদেশের মানুষ ফের কষ্ট পাবে। জুলাই সনদে মানুষের আকাক্সক্ষার রুপরেখা বাস্তবায়ন না হলে পুরো দেশ ও জাতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ না হওয়ার এই স্ফুলিঙ্গ আবার জ্বলে উঠবে একসময়। এই স্ফুলিঙ্গ যে জ্বলে উঠবে হাসিনা কি জানত? কিন্তু এটা হওয়ারই কথা ছিল। সুতরাং এই সরকার যদি মনে করে যারা এত জীবন দিল সেই জনআকাক্সক্ষা পূরণ না করে যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন দিয়ে দিলাম তাহলে এটা আবার স্পার্ক করবে। সরকারকে দায় নিতে হবে। সুতরাং জনআকাক্সক্ষার কাছাকাছি একটা সনদ হয়, মানুষ শান্তি পায় এভাবে একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করা দরকার।
শরিফ ওসমান হাদি নয়া দিগন্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই সরকার দুর্বল হয় এমন কিছু করব না, নির্বাচনের বিরুদ্ধে দাঁড়াব না, তাহলে বলবে আমরা গণতন্ত্র চাই না। আমরা ক্ষমতাহীন কিন্তু জনতার জবানে কথা বলি, এ নির্বাচন বয়কটের ডাক দেবো। তখন একমাত্র যারা ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি করবে সেই টুয়েন্টি পার্সেন্ট মানুষ ছাড়া কোনো ভোটকেন্দ্রে একটা কাক ও বিড়ালও খুঁজে পাওয়া যাবে না। জনতা শক্তিশালী নাকি ক্ষমতা শক্তিশালী সরকার যদি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে চায় তাহলে কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে যে সহিংসতা হবে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে ভালোবাসি জুলাইয়ের জন্য। আপনি তাদের বন্দুক আপনার কাঁধে নিয়ে বিদায় নিয়েন না, আপনি জুলাইয়ের বন্দুকটা হাতে নেন। রাজনৈতিক দল, আর্মিকে ডেকে বলেন, সাহায্য না করলে তারা যা করছেন তা বলে আপনি চলে যাবেন।
নয়া দিগন্ত : নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে, আপনি এখন নির্বাচনের বিপক্ষে কথা বলছেন কেন?
শরিফ ওসমান হাদি : এমন নির্বাচন জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারবে না। প্রফেসর ইউনূস যদি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইলেকশন করেন ওনার বিপরীতে ইলেকশন করার মত কোনো পলিট্যিকাল ক্যারেক্টরও নেই। ড. ইউনূস যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন, মাত্র তিনটা উপদেষ্টা পদ খালি ছিল। সুতরাং উনি সবার বন্দুক কাঁধে নেবেন কেনো? কারণ উনি দেশে আসার আগেই সমস্ত উপদেষ্টার পদ পূরণ হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অ্যাম্বাসির পরামর্শে। এই ইন্টেরিমের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়ে সামনে কোন মন্ত্রণালয় বাগানো যায় সেই প্রচেষ্টায় আছে। আওয়ামী লীগকে আরেকটু অ্যাডভ্যানটেজ দিয়ে কিভাবে তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া যায় সেই সুযোগে আছে। ইন্টেরিম ভেঙে দিয়ে শক্তিশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি ৬ মাসের জন্যে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্মে চলে যান, আপনি নিজে প্রেসিডেন্ট হন। ইউনূসের কেবিনেটের ১০১টা সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও ওনার বিপরীতে ইলেকশন করার মত কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেই। উনিতো পলিটিক্যাল পার্টি করে ফেইল করেছেন তাহলে ওনাকে ট্রাস্ট করে কেনো, বিকজ ওনাকে মনে হয় উনি আর্টিফিশিয়াল না। যে কোনো সংস্কার বলেন তা কত ভালো দেখা যাবে রাষ্ট্র যদি বেঁচে থাকে। বিভিন্ন রকম ম্যাসাকার হতে পারে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্যে এবং আমরা চাই একটা ইলেকটেড গভমেন্ট যদি আসে তাহলে আমলারা আর এরকম করার সুযোগ পাবে না। কিন্তু সেই আগের মতো ইলেকশন হলে, তার জন্যে তো মানুষ জীবন দেয় নাই। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার সাহেব যিনি সাবেক সচিব, উনি বলেছেন আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অনেক করাপশনের তথ্য ওনার কাছে আছে।
নয়া দিগন্ত : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থার কথা কেন বলছেন?
শরিফ ওসমান হাদি : দেখুন মন্ত্রিপরিষদ শাসনব্যবস্থায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলেও অনেক পাওয়ার এক্সারসাইজ করতে পারছেন না। প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থায় গেলে ওনার হাতে ক্ষমতা আসবে অনেক বেশি। উনি যদি মনে করেন যে, আরো বেশি সময় নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন দেয়া দরকার, প্রয়োজনে পলিটিক্যাল পার্টিকে কনভিন্স করে উনি সে ব্যবস্থায় চলে যেতে পারেন।
নয়া দিগন্ত : নির্বাচনের আছে আর মাত্র কয়েক মাস, এখন এ ধরনের পরিবর্তন কতটা বাস্তবসম্মত?
শরিফ ওসমান হাদি : বিপ্লবী কিছু সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৬ মাস যথেষ্ট সময়। সব ফোকাস দিতে হবে জুলাই সনদে। নির্বাচন, উচ্চ কক্ষ, নি¤œ কক্ষ কিভাবে হবে, পুরো শিক্ষা পলিসি কিভাবে হবে তা নির্ভর করছে জুলাই সনদের ওপর। এমন জুলাই সনদ হলে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর থাকবে না। এবং ষোল বছর ধরে আমাদের রাষ্ট্র ধ্বংস করা হয়েছে, যার সমাধান করতে মিনিমাম ৩২ বছর দরকার ছিল। এই সরকার কয়টা দিন ফাংশন করতে পারছে সেটাও দেখতে হবে। প্রত্যেকটা দিন একটা না একটা ষড়যন্ত্র তার বিরুদ্ধে লেগে আছে।
নয়া দিগন্ত : নির্বাচনের জন্যে তো সংস্কার কিছু হলেও হয়েছে…
শরিফ ওসমান হাদি : রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে আমরা কিন্তু রাজনৈতিক দলের নিপীড়নের পক্ষে নই। ইন্টেরিমের অনেক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর মুখপাত্র হয়ে তাদের দলীয় এজেন্ডাগুলো ইউনূসকে সামনে রেখে বাস্তবায়ন করবে। ৭২এর সংবিধানের মধ্য দিয়ে বাকশাল হয়েছে, বিচারিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেই সংবিধানকে বাতিল করে জুলাই সনদের আলোকে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। দুই, প্রতিনিধিত্বশীল স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। শুধু পুলিশ কমিশন নয়, এই পুলিশ যদি জানে আগামী নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে তাহলে সে হোমওয়ার্ক করে প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ভরে দেবে। কারণ সে জানে তাহলে তার পোস্টিংটা ভালো হবে। স্বাধীন প্রতিনিধিত্বশীল পুলিশ কমিশন হলে এটা যদি ১০ জন সদস্যের হয় তাহলে এর দুইজন সদস্য বিরোধী দল থেকে, দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন শহীদ পরিবারের হতে পারে। বাকি ৫ জন পুরো সরকার থেকে থাকতে পারে। তাহলে এ ধরনের কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ন্যূনতম জুডিশিয়াল রিফর্ম না করে আপনি কিসের নির্বাচন দিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ও ইশরাক হোসেনের যে ক্যাচাল, সেই ক্যাচালে দেখলাম আদালত পর্যন্ত স্বীকার করছে যে এ ব্যাপারে রায় দেয়ার ব্যাপারে তার ওপর চাপ ছিল। রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকবে তখন চাপ লাগবে না, আইন মন্ত্রণালয় থেকে লিখে পাঠাবে, আদালত থেকে শুধু স্বাক্ষর করে দেয়া হবে। জনপ্রশাসন সংস্কারের মধ্যে প্রশাসকরা নিজেদের প্যারালাল রাষ্ট্র ভাবে, এটাকে ন্যূনতম ভেঙ্গে দিতে না পারলে আবারো তো সে আমলাতান্ত্রিক দেশ গড়বে।
নয়া দিগন্ত : নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি কি দেখতে পাচ্ছেন?
শরিফ ওসমান হাদি : যারা রাতের ভোটের কুশীলব, যেসব ডিসি, এসপি এ ধরনের নির্বাচনের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের শাস্তির আওতায় না এনে বদলি করা হয়েছে। এটা কোনো সমাধান নয়। তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। গত এক বছরে অন্তত কেউ রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে গুম হয়নি। অথচ আয়নাঘরে বন্দীর কাছ থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দী নেয়ার জন্যে সামনের সেলে তার স্ত্রীকে এনে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের মুশকিল হলো আমাদের জাতির মননে, মনস্তত্ত্বে কালচারে এই গুম কী তা এখনো তুলে ধরতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কারো কারো স্বজনের সাথে অনবরত মিথ্যা বলে বছরের পর বছর ঘুরাত। তারা জানত মানুষটাকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ডিবি থেকে বলত আপনারা এনএসআইয়ের কাছে যান, এনএসআইয়ের কাছ থেকে বলত ডিজিএফআই, এ রকম সারাদিন তাদেরকে তাড়ার ওপরে রাখা হতো। মানুষের চাকরি নাই, ঘরবাড়ি নাই, তারপর ঋণের ওপর ঋণ করে এজেন্সির কাছে দৌড়াত। অথচ তারা জানত তাকে খুন করে ফেলা হয়েছে। এই যে কতগুলো খুন, গুম এগুলোকে নিয়ে ডকুমেন্টশন করা জরুরি।
নয়া দিগন্ত : আপনাদের মতো তরুণরা এ ধরনের চিন্তা করছেন কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দেশ পরিচালনার বিশাল অভিজ্ঞতা আছে, তাদের তো ভিন্ন চিন্তা থাকতে পারে?
শরিফ ওসমান হাদি : সবারই তো লিমিটেশন আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর তো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে সমঝোতা এবং বোঝাপড়া তৈরি করেই পলিটিক্স করতে হয়। সেটা আমলা এবং সামরিক বাহিনী, ব্যবসায়ী, তো দেখা গেছে তাদের কোনো কথা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যায় তখন তাদের পলিটিক্স কঠিন হয়ে যায়। এখন ওগুলোকে যতটা ম্যানেজ করেই তারা জনতার পক্ষে দাঁড়াতে পারবেন, তারা যত ভ্যালিড থাকবেন সামনে, আর যারা পারবেন না তারা জনতার কাতার থেকে সরে যাবেন।
নয়া দিগন্ত : জুলাই আন্দোলনে যে আকাক্সক্ষার বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যে বিশাল ফারাক তার জন্যে কি আরো লম্বা সংগ্রামের প্রয়োজন?
শরিফ ওসমান হাদি : বাকশালী সংবিধান বাতিল করতে হবে। কারণ একক একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতার সব উৎস বানিয়ে দেয়া হলে তা একটা মানুষকে ফ্যাসিস্ট হতে সাহায্য করে। বর্তমান সংবিধান ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করে বলেই জুলাই সনদের নিরিখে আগামী সংসদে নতুন সংবিধান প্রণয়ন খুবই জরুরি, যাতে সাংবিধানিকভাবে ওই ফ্যাসিস্টের জায়গা থেকে আস্তে আস্তে সরে আসা যায়।
নয়া দিগন্ত : তো লম্বা লড়াইয়ের জন্যে তো অনেক দম দরকার…
শরিফ ওসমান হাদি : দেখুন জাতি হিসেবে আমরা অনেক ভুলোমনা। দ্রুত ভুলে যাওয়ার স্বভাবের কারণে আমাদেরকে যে কেউ মিসগাইড, মিসলিড করতে পারে। আমরা যেটুকু রাষ্ট্র বানাতে পেরেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে সেই রাষ্ট্রটাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এমন কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নাই যেটা ন্যূনতম ফাংশনাল আছে। এবং এখনো সমস্ত অর্থনৈতিক সোর্স তাদের হাতে। চাইলেও একবছরে এগুলোর নিরসন সম্ভব না।
নয়া দিগন্ত : দীর্ঘ লড়াইয়ে তরুণদের শ্রম, মেধা ও বুদ্ধি বা অর্জনের যে স্পৃহা সেগুলো নিয়ে তাহলে বড় একটা প্রস্তুতি প্রয়োজন?
শরিফ ওসমান হাদি : হ্যাঁ, এইটাই চাচ্ছি। যেটাকে প্রকৃত অর্থে বিপ্লব বলে। বিপ্লব করে বিপ্লব টিকিয়ে রাখার সামর্থ্য থাকতে হবে। লেগে থাকতে পারতে হবে। শুধু অন্যকে দায় দিলে হবে না।
নয়া দিগন্ত : যোগ্যতা ছাড়া তো রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তন অসম্ভব…
শরিফ ওসমান হাদি : প্রচণ্ড যোগ্য ও সৎ এমন সমন্বয়ে যখন লাখ লাখ মানুষ গড়ে তুলতে পারব তখন রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনকে একটা স্থায়ী ভিত্তি দেয়া সম্ভব হবে।
নয়া দিগন্ত : এই লড়াইয়ে কাদেরকে অংশীজন হিসেবে চান?
শরিফ ওসমান হাদি : সবার লাগবে। রাজনৈতিক দল থেকে সুশীল সমাজ এবং সামাজিক শক্তিকে লাগবে। নিজেদের যোগ্য করে তুলব এই সুযোগটাই এ দেশে ছিল না। গুম হয়ে যেতাম, খুন হয়ে যেতাম, তাই না। এখন আমাদের চোখ খুলে গেছে, ভয় কেটে গেছে। আল্লাহ চাইলে আমরা দু’হাত খুলে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করতে পারব।