Google Alert – ইউনূস
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তবে তাঁর বক্তব্যের আগে, যেন এক নিঃশব্দ প্রশ্নের ঢেউ তুলেছিল আরেকটি কণ্ঠ। একজন তরুণী—চোখে দৃঢ়তা, কণ্ঠে স্বপ্ন, বলিষ্ঠভাবে শুরু করেন সূচনা বক্তব্য। তিনি কী বললেন, সেটাও যেমন ছিল মনোযোগের কেন্দ্রে, তেমনি—ড. ইউনূসের পাশে থাকা তরুণী কে?—এই প্রশ্নেও সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস, ভিডিও ক্লিপ ও পোস্টে আলোচনার বিষয়—এই অজ্ঞাত তরুণী। অনেকেই বলছেন, তার কণ্ঠে ছিল সাহসিকতার সুর, চোখেমুখে ছিল দায়বদ্ধতার দীপ্তি। ড. ইউনূসের আগে যার মুখে সূচনা—তার পরিচয় কি?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই তরুণীর নাম সাবরিনা আফরোজ শাবন্তী। শাবন্তী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন। গত ১৯ জুলাই শহিদ হয়েছিলেন সৈকত।
সূচনা বক্তব্যে সাবরিনা আফরোজ শাবন্তী বলেন, ‘এক বছর আগে ১৯ জুলাই আমার পরিবার যখন আমার ভাইয়ের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাওয়া যায়, তখন দেখা যায় তার মাথায় ছিল রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল গান শট। আমার ভাইয়ের উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। আমার ভাইয়ের উচ্চতা নিয়ে আমার বাবা গর্ব করত। অথচ সেই উচ্চতাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার যখন দেখি,‘আজ আমরা পুরো দেশের পরিবার হয়ে গেছি, তখন আমরা কিছুটা স্বস্তি বোধ করি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠি। দেশের ভবিষ্যৎ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছিল, সামনে কোনো আলোর দিশা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন এই সফল গণঅভ্যুত্থান আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা যেন কিছুতেই লক্ষচ্যুত না হই।’