তৃণমূলের মঞ্চ খুললো সেনা, ঘটনাস্থলে মমতা – DW – 01.09.2025

Google Alert – সেনাবাহিনী

কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ভাষা নিয়ে আন্দোলন করার জন্য মঞ্চতৈরি করেছিল তৃণমূল। সোমবার দুপুরে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সেই মঞ্চ খুলতে শুরু করায় উত্তেজনা ছড়ায়।

তৃণমূলের দাবি, অনুমতি নিয়েই তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছএতদিনের অনুমতি ছিল না।

এদিন দুপুরে, মঞ্চের একের পর এক হোর্ডিং খুলতে দেখা যায় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের। এর পর তারা বাঁশ খোলার কাজ শুরু করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নবান্ন থেকে সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর একে একে পৌঁছান ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসসহ একাধিক নেতা। তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর সেনাদের আর সেখানে  দেখা যায়নি।

 

সেখানে, আধখোলা মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেনাদের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ না থাকলেও বিজেপির নির্দেশেই এমন কাজ করেছেন সেনারা। তিনি বলেন, “আমাদের মাইক কেটে দিয়েছে। মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। আমাদের অনুমতি ছিল। ওরা আমাদের কলকাতা পুলিশকে বলতে পারত। তারা ব্যবস্থা নিত। আমাদের জানত। আমরাই মঞ্চ খুলে নিতাম।” এই মঞ্চে শনিবার এবং রোববার ভাষা আন্দোলনের অনুষ্ঠান হয়।  

তবে এদিন সেনার মঞ্চ খোলার পিছনে বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি যখন আসছি তখন ২০০ জন সেনা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বললাম পালাচ্ছেন কেন? আপনারা তো আমাদের শত্রু নন। আপনারা বিজেপির কথায়, দিল্লির নির্দেশে এই কাজ করেছেন।” এই ঘটনার পিছনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশ আছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সেনাকে ‘মিস ইউস’ করছে। 

অন্যদিকে, ফোর্ট উইলিয়ামের তরফ থেকে জানানো হয়, দুই দিনের অনুমতি নেওয়া থাকলেও প্রায় একমাস ধরে ওখানে মঞ্চ বাঁধা আছে। দুই দিনের বেশি মঞ্চ বাঁধা থাকলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই প্রসঙ্গে একাধিক বার তৃণমূলকে অবগত করে ‘রিমাইন্ডার’ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সেনার আধিকারিকরা। এমনকী, পুলিসকেও এই বিষয় জানানো হয়েছে, দাবি সেনার।

মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য তাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এর আগে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আক্রমণ করেছেন। আক্রমণ করেছেন বিচারব্যবস্থাকেও। এখন উনি সেনাদের আক্রমণ করলেন।”

এর পর, সেনার জায়গায় আর অনুষ্ঠান করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাসকে দ্বায়িত্ব দেন নতুন জায়গা খোজার। তারই নির্দেশে ডোরিনা ক্রসিং-এ এসপ্ল্যানেড মেট্রোর পাঁচ নম্বর গেটের কাছে নতুন করে  এই ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed