থমথমে বাকৃবি, সেনাবাহিনী-বিজিবি মোতায়েন

Google Alert – BD Army

কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে র‍্যাব ও পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে এক প্লাটুন সেনাবাহিনী। বিজিবি-৩৯ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন মো. তাহসিন ও সেনাবাহিনী ময়মনসিংহ ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. ফয়সাল জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ছিল- ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি’। বেলা ১১টায় একই মিলনায়তনে কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ও দুই অনুষদের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি- এই তিনটি ডিগ্রিই থাকবে। তবে শিক্ষার্থীরা তিন ডিগ্রি মেনে নেননি। তারা চান কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে অনড় থাকেন ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে একত্রে অবরুদ্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হন।

শিক্ষকরা ৬-৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পর বহিরাগতদের একটি মিছিল লাঠি সোঁটা নিয়ে ধাওয়া দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছু হটে।

বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীসহ কয়েকটি ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলা চলাকালে ক্যাম্পাসের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পেছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে সরে যান। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এদিকে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বহিরাগতদের হামলায় হামলায় এক নারী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ ক্যাম্পাসে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তন ও ভিসির ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সব শিক্ষার্থীকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কামরুজ্জামান মিন্টু, আসিফ ইকবাল/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *