দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা ও কূটনীতির টানাপোড়েন

প্রথম আলো

২০১৯ সালে যে জেভিপি জোট ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, এবার তারা পেল ৪২ শতাংশ। তার চেয়ে বড় ঘটনা, পার্লামেন্টের নির্বাচনে তারা হিন্দু-তামিলদের রাজনৈতিক রাজধানী জাফনায় ছয়টা আসনের তিনটা পেয়েছে। এই তিন আসন পাওয়া তাকে ভারতের শাসকশ্রেণির সামনে যেভাবে নৈতিক শক্তি জুগিয়েছে, সেটা সিংহলি দক্ষিণের ত্রিশ আসনের চেয়ে বেশি কিছু।

জেভিপি একসময় ভারতীয় সৈনিকদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সশস্ত্র যুদ্ধে নেমেছিল। এখন দিব্যি নয়াদিল্লিকে শান্ত রাখার কায়দা শিখে গেছে। তাদের কৌশল খুব সাদামাটা। জাতিগত বিবাদ আর বাড়াতে চায় না তারা।

বাস্তববাদী একই রকম কৌশল নিচ্ছে এ মুহূর্তে মালদ্বীপের তথাকথিত ভারতবিরোধী সরকারও। এই দুই সরকার দেখাচ্ছে, কোথায় অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সীমানার শেষ, কোথায় আন্তরাষ্ট্রীয় বুদ্ধিমত্তার শুরু এবং কোথায় এই দুটোকে মেলাতে হয়।

শ্রীলঙ্কার মধ্যপন্থী অনূঢ়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ আগস্ট–পরবর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৈত্রীর যে বিপুল সুযোগ রয়েছে, তার কথা ঢাকায় কেউ ভাবছে কি না, বোঝা মুশকিল। তবে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জোরের সঙ্গে কাছে টেনে বাংলাদেশ তার গণ–অভ্যুত্থানকে দ্রুত আরও উচ্চতায় নিতে পারত; এখনো হয়তো সে সুযোগ আছে। তবে বাংলাদেশকে এ মুহূর্তে পকিস্তানের দিকেই বেশি আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে। যদিও ইসলামাবাদের ‘ডিপস্টেট’ নিজ দেশে গণমানুষের বিপুল ক্ষোভের মুখে আছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অন্যায্য ভূমিকার মাধ্যমে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *