Google Alert – বাংলাদেশ
এশিয়ান কাপে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছে মনিকা -শামসুন্নাহাররা। এবার আফঈদা খন্দকারদের সামনে আরও একটি অর্জনের হাতছানি- এএফসি অনূর্ধ্ব ২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্ব। রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করলেই মিলবে এমন দারুণ অর্জন।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলছে ‘এইচ’ গ্রুপে। এই গ্রুপে সাবেক চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া থাকলেও টেবিলে সুবিধানজক অবস্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও কোরিয়া দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। গোল ব্যবধানও সমান ১০। রবিবারের ম্যাচ যদি ড্র হয়, তাহলে বাংলাদেশই এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে যাবে। কারণ টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, একাধিক দলের সমান পয়েন্ট হলে হেড টু হেড বিবেচনায় আসবে। কাল ড্র হলে হেড টু একই থাকছে। এরপর গ্রুপের মধ্যে গোল ব্যবধান সেটাও সমান। তখন বাইলজের ৭.২.২.৬ ধারা অনুযায়ী বেশি গোলের হিসেব ধরা হবে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে করেছে ১১ গোল আর কোরিয়া ১০। এতে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
আবার কোরিয়ার বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশের সুযোগ থাকবে মূল পর্বে খেলার। তখন আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স আপ হতে হবে। এজন্য অবশ্য অন্য গ্রুপগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে শনিবার বাংলাদেশ দল মাঠের অনুশীলন করেনি। দলের রিকোভারি সেশন ছিল। সকালে খেলোয়াড়রা স্ট্রেচিং, জিম ও পুল সেশনে অংশ নিয়েছে।
লাওসের ভিয়েনতিয়ান ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে লড়াইয়ের আগে দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার বলেছেন , ‘এখন আমাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। আমি শুধু আশা করি, এই টুর্নামেন্ট থেকে মেয়েরা কিছু শিখবে। যখন আমরা কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবো, আমি মনে করি ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেবে বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচ থেকে শিখতেও চায় তারা, এমনটাই বললেন বাটলার, ‘ম্যাচটা খেলার জন্য সবকিছুই আমাদের আছে। আমরা সেরাটাই দিবো। তবে আমি মনে করি, কাজগুলো ঠিকঠাক করতে আমাদের কিছু বিষয় শিখতে হবে এবং আশা করি সেটা আমরা শিখবোও।’