Google Alert – সামরিক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকেরা। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধের বিচার করার এখতিয়ার আইসিসির আছে কি না, ইসরায়েলের এমন চ্যালেঞ্জও বিবেচনা করছেন আদালত।
আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সিদ্ধান্তে জানা যায়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নৃশংসতাসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে আইসিসির চলমান তদন্ত স্থগিতের জন্য ইসরায়েলের করা অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছেন বিচারকেরা।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে ২১ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি।
গত ফেব্রুয়ারিতে আদালত জানিয়েছেন, ইব্রাহিম আল-মাসরি মোহাম্মদ দেইফ নামেও পরিচিত। তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিচারকেরা তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন।
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে না ইসরায়েল। তারা গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও অস্বীকার করে। দেশটি বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় তারা যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা মূলত হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে। নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধেও আপত্তি জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের যুক্তি, এপ্রিল মাসে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে ইসরায়েলের আপত্তি পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত। এতে প্রতীয়মান হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য বৈধ এখতিয়ারের কোনো ভিত্তি নেই।
তবে গতকাল বুধবার বিচারকেরা এই যুক্তিকে ভুল বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইসরায়েলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে এখতিয়ারসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এখনো বিচারাধীন। যতক্ষণ না এই বিষয়ে আদালতের সুনির্দিষ্ট রায় আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরোয়ানা বহাল থাকবে।
গত জুনে আইসিসির চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় এটি এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ। নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ওই চারজনের মধ্যে দুজন বিচারক সেই প্যানেলে রয়েছেন, যাঁরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারে ইসরায়েলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।