দেড় মাস কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন ৬৪ ভারতীয় জেলে

Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৮ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:১৯

কারাভোগ শেষে কোস্ট গার্ডের তৎপরতায় দেশে ফিরছেন ৬৪ ভারতীয় জেলে। ছবি: সারাবাংলা

বাগেরহাট: বাংলাদেশে ১ মাস ১৬ দিন কারাভোগ শেষে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন ৬৪ জেলে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর জলসীমা লঙ্গনের দায়ে তাদেরকে আটক করেছিলেন নৌবাহিনীর কোস্ট গার্ড।

মোংলা থানা পুলিশ জানান, বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের দায়ে গত ১৭ অক্টোবর ৪টি ট্রলারসহ ৬৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছিলেন নৌবাহিনী। মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন সমুদ্র এলাকা থেকে ওই ভারতীয় জেলেদের আটকের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এ ঘটনায় থানা মামলা দায়েরের পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো।

টানা দেড় মাস হাজত খেটে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেল থেকে ছাড়া পান ভারতীয় এ জেলেরা। পরে বাগেরহাট থেকে পুলিশ তাদেরকে মোংলায় নিয়ে আসেন। মোংলার ফেরিঘাটে থাকা ভারতীয় জেলেদের ট্রলারসহ অন্যান্য মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয় তাদেরকে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ভারতীয় এ জেলেরা এখন কোস্ট গার্ড মোংলা সদর দপ্তরে রয়েছেন। বিকেলে জেলেদের ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগোনার কাকদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ জেলেরা কাকদ্বীপের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এ সকল জেলেদের নিতে আসা স্বজন অভিজিৎ বিশ্বাস ও সুকুমার গাইন বলেন, ‘দিক ভুল করে ভারতীয় জেলেরা এদেশের জলসীমা চলে আসলে তাদেরকে আটক করে জেলে দেয়া হয়েছিলো। পরে ভারত-বাংলাদেশের সমঝোতায় মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ১ মাস ১৬ দিন পর তারা ছাড়া পেয়েছেন। তাদেরকে এখন আমরা কাকদ্বীপে নিয়ে যাবো। আর এদেশের বর্তমান সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই সমঝোতার মাধ্যমে আমাদের জেলেদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য।’

মোংলা থানার এসআই হাদিউজ্জামান হাদী বলেন, ভারতীয় জেলেদের আটকের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তারা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদেরকে আমরা তাদের মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছি, এ কার্যক্রমের সাথে কোস্ট গার্ডও ছিল। এখন তারা তাদের দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাচ্ছেন।

সারাবাংলা/এনজে

কারাভোগ
জেলে
বাগেরহাট
বাংলাদেশ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *