The Daily Ittefaq
নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের আলোকবালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদেক মিয়া (৪২) নামে এক যুবদল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত সাদিক মিয়া আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা কাইয়ুম গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। তিনি আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন-আহ্বায়ক ছিলেন।
আহতরা হলেন, এবাদুল মিয়া (২২), হানিফা (৫০), ওমর ফারুক (৩৮), ফারুক মিয়া (৩২), রমজান (৩২) মুরাদ (২৩), আবু বক্কর (২৫), সুলতান (৫০) ও হোসাইন (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পাঁচ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মো. কাইয়ুম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে সোমবার ভোরে শাহ আলম সমর্থিত একটি গ্রুপ নদী পথে মুরাদনগর গ্রামে হামলার উদ্দেশ্যে আসার চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করে কাইয়ুমের সমর্থকরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদেক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম জানান, একটি গ্রুপ ভোরে আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে বসতবাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে নদী পথে রওনা হয়। এ সময় অন্য পক্ষটি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সঙ্গে র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে একই ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর ইদন মিয়া ও ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসী বেগম নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ নিয়ে তিনজন নিহতের পাশাপাশি কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।