Google Alert – আর্মি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-মিয়ানমার সীমান্তে ৯ দিন পর দুই বিদ্রোহীদের মাঝে এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত প্রায় ১১টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের ওই পারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে থেমে থেমে দীর্ঘক্ষণ এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় সীমান্ত ঘেঁষা এপারে ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার মানুষদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তুমব্রু কোনারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল আলিম, মোহাম্মদ হোসন ও ছৈয়দ নুর জানান, হঠাৎ গোলাগুলির আওয়াজে লোকজনের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শিশুদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বেশি।
তারা বলেন, তুমব্রু বাজারের দক্ষিণে কয়েকশ গজ দূরে মিয়ানমার অংশের সীমান্ত চৌকি তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখলে থাকা বিদ্রোহী আরকান আর্মি রয়েছে। সেই চৌকিতে অপর বিদ্রোহী আরসা গ্রুপ হামলা চালিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।
তারা আরও জানান, উভয়পক্ষ একে ৪৭ রাইফেলসহ অন্যান্য ভারি অস্ত্র ব্যবহার করছে। তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল নিতে আরসা হামলা শুরু করলে অপরদিকে চৌকি দখলে থাকা আরকান আর্মি পাল্টা গুলি চালায় বলে জানতে পারেন তারা। যা বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে। তাদের প্রাথমিক ধারণা অর্ধশতাধিক গোলাগুলির শব্দ তারা শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২ বছর আগে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে সীমান্ত এলাকাটি দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বর্তমানে এ চৌকিগুলো রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, দীর্ঘদিন পর গত ১৯ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক এসএম খায়রুল আলাম বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়।
তিনি বলেন, বিজিবির সীমান্তে নিয়মিত টহল চলমান রয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবির সদস্যরা।