নাইজেরিয়ায় ফজরের নামাজের সময় ভয়াবহ হামলায় নিহত অন্তত ২৭

Google Alert – সশস্ত্র

নাইজেরিয়া আবারও রক্তাক্ত হলো ভয়াবহ বন্দুক হামলায়। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাটসিনা রাজ্যে ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে আসা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে সশস্ত্র ডাকাতরা। এই নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭ জন মানুষ, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনাটি স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোরে, স্থানীয় সময় প্রায় ৪টার দিকে। স্থান ছিল কাটসিনা রাজ্যের মালুমফাশি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম উঙ্গুয়ান মানতাউ। মুসলিমরা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বন্দুকধারীরা এসে গুলি চালাতে শুরু করে। হামলার পেছনে কারা জড়িত এবং কেন এই হামলা চালানো হয়েছে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জমি, পানি ও স্থানীয় দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নিয়মিতভাবেই এমন হামলার ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় গ্রামপ্রধান এবং হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ২৭ ছাড়িয়েছে এবং আহতদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ চলাকালীন মুহূর্তেই হামলাকারীরা দৌড়ে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে, ফলে মসজিদটি মুহূর্তের মধ্যে রক্তে ভেসে যায়। হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

 

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-মধ্য অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই সশস্ত্র ডাকাত, পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে সংঘাতের কারণে অস্থির। জমি ও পানির সীমিত প্রবেশাধিকারের বিরোধ এই সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলছে। গত জুন মাসেও উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ায় এক ভয়াবহ হামলায় ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর যেন আবারও সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে এলো।

 

রাজ্যের কমিশনার নাসির মুয়াজু বলেছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উঙ্গুয়ান মানতাউ এলাকায় সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার আশ্বাস দিয়েছে, হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *