Google Alert – সেনাবাহিনী
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানায়ক কর্নেল অব. জিয়া উদ্দিন বীর উত্তম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্ন ইলাইহি রাজেউন)। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তা ও সম্মুখ সারিতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে করায় বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়াও, তিনি ঢাকার ৪৬তম পদাতিক ব্রিগেডের দ্বিতীয় কমান্ডার ছিলেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, জিয়াউদ্দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ত্যাগ করে মেজর আবু তাহের, মেজর মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর এবং ক্যাপ্টেন বজলুল গণি পাটোয়ারীকে নিয়ে অ্যাবোটাবাদ সেনানিবাস থেকে ২৫ জুলাই ১৯৭১ সালে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দেবীগড়ে পৌঁছান এবং ২৭ জুলাই দিল্লি পৌঁছান। জিয়াউদ্দিন এবং অন্যান্যরা ৭ আগস্ট কলকাতায় পৌঁছান। এরপর তাকে জেড ফোর্সের অধীনে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়, জিয়াউদ্দিন ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন।
এছাড়াও, অক্টোবরে কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনে জিয়াউদ্দিন এবং তাহের উভয়ই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার বিরোধিতা করে অনিয়মিত মিলিশিয়াদের জন্য আরও সমর্থন উৎসাহিত করেছিলেন। তারা অস্ত্রের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর ভারত থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তর করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ১৩ ডিসেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ যুদ্ধে জিয়াউদ্দিন অগ্রভাগে ছিলেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিবাহিনী এবং যৌথ বাহিনী সিলেটের সদর দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সিলেটে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীনতার পর, জিয়াউদ্দিনকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের (বর্তমান কক্সবাজার) চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ কাশেম এবং মা মজিদা খাতুন।