Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
এখন বর্ষা মৌসুম। কখনও থেমে আবার কখনও অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। আর বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক ভর করে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের। মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও থাকছেন পাহাড়ের পাদদেশে, এদের বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত। তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য এরই মধ্যে জেলা উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হচ্ছে মাইকিং।
এ ছাড়া ২ দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামূহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করছে। এতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আগের তুলনায় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি বলেন, ‘সেই অনুসারেই বন্যায় প্লাবিত এলাকা ও ভূমি ধসের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেগুলো এবং পাহাড় কেটে নতুন যে স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলোকে ফোকাস করে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে জেলা সদরে ৩ জন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ জন, ২০১২ সালে লামা ফাইতং ইউনিয়নে ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৩ সালে পৌর শহর কালাঘাটায় ২জন, ২০১৪ সালে সদরে ৪জন, ২০১৫ সালে লামায় ৬ জন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় ৩ জন, ২০১৭ সালের সদরের কালাঘাটায় ৭জন ও রুমা সড়কে ৫ জন, ২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ জন ও লামায় ৪ জন, ২০১৯ সালে লামায় ১জন, ২০২০ সালে আলীকদমের মিরিঞ্জা এলাকায় ১ জন, ২০২১ সালে ছাইঙ্গ্যা ঝিরিতে এক পরিবারের ৩ জন, ২০২৩ সালে মা-মেয়ে ২জন ও সর্বশেষ চলতি বছরে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে নিহত হন ১ জন কৃষক।