Independent Television
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকার প্রতারণার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডের মালিক নূর আলী ও তাঁর জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডসহ অন্য অভিযুক্তরা মালয়েশিয়ায় পাঠানো প্রতি কর্মীর নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অভিযুক্তরা গত ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২ বছরে মোট ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকারি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট অন্য অভিযুক্তরা জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। ভুক্তভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি’র নামে এসব অতিরিক্ত খরচ আদায়ের তথ্য পাওয়া যায়।
সিআইডি জানায়, সংঘবদ্ধ চক্রটির ১৪ সদস্য পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা করে মোট ৪০ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। এটি সুষ্পষ্টভাবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মানিলন্ডারিং অপরাধ।
বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।