Google Alert – সেনাবাহিনী
ছাতারপাইয়া বাজারে খালের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া বাজারে খালের ওপর গড়ে তোলা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে এ চালায়।
এ সময় ছাতারপাইয়া-মানিক মুড়া খাল, ছাতারপাইয়া-কাশিপুর খাল, ছাতারপাইয়া-কানকিরহাট খাল ও ছাতারপাইয়া-বসন্তপুর খাল দখল করে গড়ে তোলা দোকানপাটসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে সেনবাগের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ কাউসারী আক্তার, সেনাবাহিনীর সেনবাগ ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ফারভেজ মোশাররফসহ দুই প্লাটুন সেনা সদস্য এবং একদল পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
সেনবাগের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাতারপাইয়া বাজারের পাশে অবস্থিত চারটি খাল দখল করে দোকানপাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রকৃতি ও জনজীবনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আজকের এ অভিযানে খালের ওপর থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের আগে তালিকা করে অবৈধ দখলদারদের নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। অভিযানের পর আর যেন কেউ খাল দখল করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব এবং জনগণকেও সচেতন থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি।
অভিযানের আগে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও কেউ স্থাপনা না সরানোয় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সহকারী কমিশনারগণ জানান, খালের ওপর থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
সেনাবাহিনীর সেনবাগ ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ফারভেজ মোশাররফ বলেন, মানুষকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী কাজ করছে। আমাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে খালে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা খালের ওপর থেকে সব অবৈধ বাঁধ অপসারণ ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারেরও দাবি জানান।
এসআরএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।