Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘সুনসান গোপালগঞ্জ ধরপাকড় আতঙ্ক’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা ও সংঘর্ষের পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলাজুড়ে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কারফিউ শুরুর পর থেকেই শহরে নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা। রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা, সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘরে অবস্থান করছে।
শহরের প্রধান সড়ক ও গলিগুলোতে কোথাও আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। রাস্তায় পড়ে আছে ভাঙা ইট, ব্যানার ও ফেস্টুন।
বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালাচ্ছে। সন্ধ্যার পর কেউই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না।
প্রশাসনের দাবি, শহরের পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত চারজনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। দীপ্ত সাহা, রমজান কাজী, সোহেল রানা ও ইমন তালুকদারের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক।
চারদিকে কান্না আর আহাজারি। সাধারণ মানুষ এখন ধরপাকড় আতঙ্কে ভুগছে।
এই পরিস্থিতির কারণে শুধু গোপালগঞ্জ জেলার এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার স্থগিত করা হয়েছে।
তবে দেশের অন্য সব জায়গায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা-সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, নিহত চার‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা কর্মসূচিতে সহিংস হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এতে চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের সবার শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল। এই ঘটনায় আরও একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, আগুন, বোমা বিস্ফোরণ, মঞ্চে হামলা ও পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
এনসিপির অভিযোগ, হামলাটি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চালিয়েছে এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।
এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এনসিপির নেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন তারা মাদারীপুরের পথে আছেন এবং কর্মসূচি চলবে।
সহিংসতার কারণে গোপালগঞ্জে আজকের এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, যদিও দেশের অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষা যথাসময়ে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৬৩ দিন আগে আওয়ামী লীগের দলীয় নিবন্ধন স্থগিত করেছিল।
এরপর বুধবার ইসির ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে দলটির নাম এখনো নিবন্ধিত দলের তালিকায় রয়েছে, পাশে লেখা রয়েছে “নিবন্ধন স্থগিত”।
একই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর নাম, প্রতীক (দাঁড়িপাল্লা) ও অন্যান্য তথ্য তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
জামায়াতের নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলেও ইসি তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে ২০১৮ সালে।
পরে চলতি বছর ১লা জুন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল হয়। এরপর ২৪শে জুন ইসি জামায়াতের নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরিয়ে দেয়।
এদিকে এনসিপি নামে একটি দল নৌকা প্রতীক বাতিলের দাবি জানায়। নির্বাচন কমিশন জানায়, নৌকা প্রতীক এখন অন্য কেউ পাবে না, তবে বিভ্রান্তি এড়াতে ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
যদিও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নতুন তালিকায় নৌকা প্রতীক রাখা হয়েছে, এনিয়ে সমালোচনাও হয়।
ইসি দাবি করেছে, এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই, সব সিদ্ধান্ত কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় হয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘We’ll bury Mujibism‘ অর্থাৎ, ‘আমরা মুজিববাদকে কবর দেবো’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এক সমাবেশে বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে “মুজিববাদ” মুছে ফেলবে এবং একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশ গড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ লড়াই করে জয়ী হয়েছিল, এবারও বাধা পেয়ে তারা আবার রুখে দাঁড়াবে।
নাহিদ বলেন, “আমরা এবার মুজিববাদের অবসান লিখব, ১৯৭২ সালের সংবিধানকে কবর দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।”
তিনি গত বছরের ৬ই জুলাই নিহতদের রক্তের নামে শপথ করেন, মুজিববাদীরা আর কখনো গোপালগঞ্জ বা বাংলাদেশে আধিপত্য করতে পারবে না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য থাকবে না, চাকরি বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জকে অবহেলা সহ্য করা হবে না, আবার অপরাধীদের আশ্রয়ও গোপালগঞ্জে বরদাশত করা হবে না।
সমাবেশ শুরুর আগেই একদল লোক মঞ্চ, সাউন্ড সিস্টেম ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং বোমা ছোড়ে।
সমাবেশ শেষ হওয়ার পর জায়গাটি আবার ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা এনসিপির গাড়িতে হামলা চালাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ যদি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিজেদেরই গোপালগঞ্জ রক্ষা করতে হবে।
নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Political parties condemn attack on NCP rally in Gopalganj‘ ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো’
প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তারা বলেছে, এই সহিংসতা দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ব্যাহত করতে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল করতে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
দলগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার হুমকির মুখে পড়ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগের ‘দুষ্কৃতকারী’ কর্মীদের দায়ী করে বলেন, দেশে আবারও রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এসব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
তিনি সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও দেশে ফ্যাসিবাদের ছায়া রয়ে গেছে, এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
১২ দলীয় জোট এবং গণতন্ত্র মঞ্চও হামলার নিন্দা জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
নাগরিক ঐক্য, বাসদ, গণসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানায়।
অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তাদের নিষ্ক্রিয়তা, অবহেলা বা মদদ রয়েছে কিনা তা তদন্তের দাবি উঠেছে। তারা এটিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে।
সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়‘
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো টি২০ সিরিজ জিতেছে। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি হেরে পিছিয়ে পড়লেও বাংলাদেশ পরের দুটি ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচটি ছিল নির্ধারণী, যেখানে বাংলাদেশ দুর্দান্ত অলআউট ক্রিকেট খেলেছে।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। লিটন দাস ও তামিম দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন।
বোলিংয়ে সবচেয়ে আলো ছড়ান শেখ মেহেদি হাসান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন, যা তাঁর ক্যারিয়ার সেরা।
শরিফুল ইসলাম ও তানজিম সাকিবও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কা একসময় ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়।
এর আগে বাংলাদেশ ক্যান্ডিতে সিরিজ শুরু করলেও হেরে যায়, কিন্তু ডাম্বুলায় জয় পেয়ে সমতা ফেরায়।
এই সফর ছিল আত্মবিশ্বাস ফেরানোর, কারণ এর আগে বাংলাদেশ আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল।
লিটনের নেতৃত্বে এবার বিদেশের মাটিতে এটি তাঁদের দ্বিতীয় সিরিজ জয়। সমর্থকদের গর্জন ঠেকিয়ে টাইগাররা শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইতিহাস গড়েছে।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘এখনো চুক্তি করতে না পারার বড় কারণ প্রস্তুতির ঘাটতি‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত করলেও শুল্ক হার কমানোর চুক্তি দ্রুত করতে পারেনি সরকার।
প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি ও আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের, কিন্তু যাদের পাঠানো হয়েছিল তারা আলোচনাকে এগিয়ে নিতে পারেননি।
পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আলোচনা সামলে নিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এপ্রিলের শুরুতে পাল্টা শুল্কের ঘোষণা দেন, পরে বাংলাদেশের অনুরোধে তিন মাস সময় বাড়ানো হয়।
তবে ১লা আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, যা বর্তমান গড় হার থেকে অনেক বেশি। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে কম শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর মধ্যে, কিন্তু তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি।
পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আলোচনায় যুক্ত হন এবং আশ্বাস পান বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বর্তমানে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক চলছে, আগামী দিনে ভালো ফল আশা করা হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন প্রস্তুতির অভাবেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। আলোচনায় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ কম ছিল, কোনো লবিস্ট নিয়োগ হয়নি।
দর-কষাকষির সময় ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেকেই বলেন, দরকার ছিল শক্তিশালী ও বহুপক্ষীয় একটি দল গঠন করার, যা হয়নি। ফলে আলোচনার স্বচ্ছতা ও অগ্রগতিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে সোহাগ হত্যার পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা ছিল পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তার ব্যবসা নিয়ে।
সোহাগের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান মাহিন ও টিটুর বিরোধ ছিল, যাদের নেতৃত্বে সোহাগকে মারধর ও মব তৈরি করা হয়।
মবের মধ্যে রিজওয়ান উদ্দিন অভি পাথর নিক্ষেপ করে, যার ভিডিও ভাইরাল হয়।
তদন্তে জানা যায়, অভির বিরুদ্ধে সোহাগ স্পর্শকাতর ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করতেন, যা থেকে অভির স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় অভির ক্ষোভ ছিল গভীর।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এসব নৃশংসতার পেছনে ক্ষোভ ও বঞ্চনা থাকে, তবে হত্যা কখনোই কাম্য নয়।
সোহাগ বিদ্যুতের চোরাই তার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে ছিলেন, যা ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের রাস্তায় তার ওপর পাথর নিক্ষেপ করে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনার জন্য মাহিনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে, বর্তমানে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আদালত তিনজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও পদোন্নতির সময় আর কোনো কর্মচারীর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে না।
এটি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে নেওয়া হয়েছে। পূর্বে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বা পদোন্নতির সময় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় জেনে তা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতো, যার ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তি এই কারণে বঞ্চিত হতেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে।
এছাড়া, পদোন্নতির সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছানো কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির নিয়মও পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যেখানে গুরুদণ্ডে দণ্ডিত না হলে দুই বছর পর পর বেতন স্কেল বাড়ানো হবে।
এই পরিবর্তন বাস্তবায়নে অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যা বাস্তবায়নের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।
এছাড়া, সরকারি দপ্তরগুলোর ওয়েবসাইটকে আরো আধুনিক ও সেবামুখী করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নাগরিক সুবিধা বাড়াতে নির্দিষ্ট সময়ে গণশুনানি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল চালুর পর থেকেই লোকসান করছে, কারণ টোল থেকে আসা আয় টানেলের পরিচালনার খরচ মেটাতে পারছে না।
টানেলটি নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি হওয়ায় চালাতে হয় কৃত্রিম অক্সিজেন, আলো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা ব্যয়বহুল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন খরচ ছিল ১৭৫ কোটি টাকা, কিন্তু টোল আদায় হয় মাত্র ২৮ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ২২৬ কোটি টাকা, টোল আদায় হয় মাত্র ৩৮ কোটি টাকা, ফলে লোকসান হয়েছে প্রায় ১৮৯ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও টানেল থেকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকার লোকসানের পূর্বাভাস আছে। প্রকৃত যানবাহনের সংখ্যাও পরিকল্পনার তুলনায় অনেক কম, যেখানে দৈনিক গড় ২৮ হাজার ৩০৫টির কথা বলা হলেও, বাস্তবে এপ্রিল মাসে দৈনিক গড় ছিল মাত্র চার হাজার ১৫টি।
সরকার খরচ কমিয়ে এবং ট্রাফিক বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, জনবল কমিয়ে পরিচালন খরচ প্রায় ১০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে।
ঢাকা-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ সহজ করার জন্য নতুন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে, যা ট্রাফিক বাড়াবে এবং আয় বাড়াবে। টানেল ঘিরে আবাসন প্রকল্প ও বন্দর উন্নয়নের মতো অর্থনৈতিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকার দ্রুত টানেলটি লাভজনক করতে কাজ করছে।