Google Alert – ইউনূস
তিস্তা প্রকল্পে চীনা ঋণ নিতে চায় সরকার— প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর এটি।
এতে বলা হয়েছে, চীনা ঋণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের কাছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের পর প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে কাজ শুরু হয়।
প্রতিবেদনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বরাতে বলা হয়েছে, তিস্তা প্রকল্প চীনের ঋণে বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের আগ্রহ রয়েছে। চীনও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়। দুই পক্ষের সম্মতিতেই বিষয়টি অগ্রসর হচ্ছে।
প্রকল্পটির পুরো নাম ‘কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব তিস্তা রিভার প্রজেক্ট’ বা তিস্তা নদীর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প। এটি তিস্তা মহাপরিকল্পনা নামেও পরিচিত।
এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন ও ভারত— দুই দেশই বিভিন্ন সময়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, এ বছরের মধ্যেই আর্থিক চুক্তি (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট) সই করতে পারে বাংলাদেশ-চীন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, ইতোমধ্যে চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংস্থা প্রকল্পের সমীক্ষা করেছে।
পাথরের সঙ্গে লুট হয়ে গেল শাহ আরেফিন টিলাও— সমকালের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি।
এই খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় ২৬ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা লুট করেছে।
এই চক্রে রয়েছেন বিএনপি, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজশেই টিলাটি বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি পাথর নিয়ে হইচই শুরু হলে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। সে সুযোগে তিন দিন ধরে টিলা ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন থেকে সরে দাঁড়ায় পাথরখেকোরা।
তবে বেশিরভাগ পাথরখেকো এখনও যন্ত্রপাতি সরায়নি। গত দুই দিনে কেউ কেউ সরিয়ে নিলেও অনেকে অপেক্ষায় আছেন আবার পাথর উত্তোলনের।
উল্লেখ্য, এ টিলার কিছু অংশ ধ্বংস করে পাথর উত্তোলনের পর কেবল হযরত শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানাসহ একাংশ অক্ষত ছিল। স্থানটিকে কেন্দ্র করে অবশিষ্ট ছিল কিছু গাছ ও বড় আকারের কয়েক হাজার সংরক্ষিত পাথর। সেখানেই পাথরখেকোদের নজর এখন।
আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে শতাধিক খুন— ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম এটি।
এই খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ অগাস্ট পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরীর আট থানা এলাকায় ৪৩টি হত্যার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি জেলার চার থানা এলাকায় ৫৯টি খুনের ঘটনা ঘটে। সবমিলিয়ে ১০২টি খুন হয়।
মহানগরীর ছয়টি এলাকায় সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এখানে নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে হত্যাকাণ্ডগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, বরং একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ বলে জানায় পুলিশ।
মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, টঙ্গী উড়াল সড়ক, টঙ্গী স্টেশন রোড, চান্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
এসব এলাকায় টহল পুলিশের সংখ্যা ও নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব ছোট-বড় অপরাধ।
এতে বলা হচ্ছে, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে।
শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে নিয়োগের বদলে বিসিএসের আদলে শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এই পরীক্ষা হবে দুই ধাপে— নির্বাচনি বা বাছাই পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা।
নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০২৫-এর খসড়া করা হয়েছে। তাতে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।
খসড়াটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। তা অনুমোদন হয়ে বিধিমালাটি শিগগিরই গেজেট আকারে জারি করা হবে বলে আশা করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উভয় পরীক্ষায় পাশ নম্বর হবে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ, শূন্যপদের দ্বিগুণ প্রার্থী ডাক পাবেন মৌখিক পরীক্ষায় এবং চূড়ান্ত সুপারিশ পাবেন পদের ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থী।
এই খবরে বলা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র লেখক কে তা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বইটি লেখার পুরস্কারস্বরূপ এক কর্মকর্তাকে পুলিশের শীর্ষ পদে বসানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য কয়েকজন ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ও বইটির প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এটিকে নিছক রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবেই দেখছেন।
তবে, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সংকলন ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এর সঙ্গে জাবেদ পাটোয়ারী যুক্ত ছিলেন।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন বণিক বার্তাকে বলেন, সম্ভবত অভিযোগকারীরা অন্য একটি প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত অন্য একটি গ্রন্থের সঙ্গে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’কে গুলিয়ে ফেলেছেন। এখন পর্যন্ত এমন কোনো গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা পাইনি যার ভিত্তিতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র রচনাকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের বণিক বার্তাকে বলেছেন, এটা মূলত রাজনৈতিক বিতর্ক ছাড়া আর কিছু নয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে যে সময়কালের রাজনীতির নিখুঁত বিবরণ উঠে এসেছে, সেটা জাবেদ পাটোয়ারী বা তার মতো কারো পক্ষে লেখা খুবই দুরূহ।
এমন গ্রন্থ যদি কাউকে দিয়ে লেখাতেই হয় তবে জাবেদ পাটোয়ারীকে দিয়ে কেন— এমন প্রশ্ন তুলেছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার।
এই খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আটটি প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন পদে এখন পর্যন্ত ৫৬৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে বিভিন্ন পদে মোট এক হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
এদিকে, বেশিরভাগ প্যানেলের নাম এখনো চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে ছাত্রদল তাদের প্যানেল ঘোষণা করেনি। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে লড়তে যাচ্ছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতারা।
এছাড়া, ডাকসু ফর চেঞ্জ ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেল, বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সমর্থিত প্যানেলও রয়েছে।
স্বতন্ত্র প্যানেল ডিইউ ফার্স্ট, স্বতন্ত্র আরো একটি প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এই খবরে বলা হয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ আসতে যাচ্ছে এই সপ্তাহেই। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়ার কাজও শেষ হয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ গতকাল সোমবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। নির্বাচনি রোডম্যাপের সবকটি বিষয় সমন্বয়ের কাজ চলছে বলেও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
মাঠ প্রশাসনে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে হবে, তাদের কার্যপরিধি কী হবে, ফোকাল পার্সন নির্ধারণের ব্যাপার, পরিপত্র নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত যে কাগজপত্র তৈরি করা— বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক চলছে বলেও জানান আখতার আহমেদ।
তার ভাষ্য, কাজগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য কো-অর্ডিনেট করার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কৃষিখাতে আধুনিকায়নের প্রয়োজনে সরকার ২০২০ সালে ৩০২০ কোটি টাকায় ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি’ শুরু করেছিল।
যেখানে ১২টি ক্যাটাগরিতে ১৫টি ছোট-বড় যন্ত্রে সরকার নির্দিষ্ট হারে ভর্তুকি দিয়েছে। এ ভর্তুকিতেই চলেছে হরিলুট।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যেই প্রকল্প অফিস ও বিভিন্ন অঞ্চলের ৯ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের অনিয়মের বিচার চলছে।
তবে সরবরাহকারী যেসব প্রতিষ্ঠান এসব যন্ত্র সরবরাহে জড়িত, তারা প্রত্যেকেই অনিয়ম করে হাজার কোটি টাকার বেশি সরকারি ভর্তুকি লোপাট করলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ প্রকল্পের আওতায় কম্বাইন হার্ভেস্টর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ভুয়া ভর্তুকির টাকা আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত হয়নি। কিস্তিতে যন্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো শত শত কৃষককে ঋণের ফাঁদে ফেলেছে। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে কৃষকের কাছ থেকে ডাউনপেমেন্ট নিয়ে কিস্তিতে যন্ত্র বিক্রি করেছে। যে যন্ত্র এখন অনেক কৃষকের গলার কাঁটা।
নিম্নমানের যন্ত্র হওয়ায় অনেকেই ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। কিস্তি দিতে না পারলেই কৃষকের বাড়ি বা মাঠ থেকে যন্ত্রটি উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো।