Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘BSF kills 34 Bangladesh nationals in 11 months of interim govt‘ অর্থাৎ, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসে ৩৪ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসের শাসনামলে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশিকে গুলি বা নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই তথ্য জানায়।
আগের বছরগুলোতেও (২০২৩ ও ২০২৪ সালে) এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ ও ৩০ জন ছিল। বারবার আশ্বাসের পরও এই হত্যাকাণ্ড থামেনি।
সম্প্রতি ফেনীর পরশুরামের বাশপদুয়া সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত এবং একজন আহত হন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান বলেন, ভারত সহযোগিতা করছে না এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতার কারণেই কার্যকর চাপ তৈরি হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেনও মনে করেন, কৌশলগতভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় সীমান্তে হত্যা কমানো যাচ্ছে না।
এদিকে ভারত চলতি বছর ৭ই মে থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজার জনকে, অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সীমান্তে বিস্ফোরণ, ড্রোন উড়ানো ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ছাত্র আন্দোলনের মাঝে বিএসএফ প্রায় প্রতি মাসেই বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিএসএফ-এর হাতে ১৫ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।
সর্বশেষ শুক্রবার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিশু মারা যায়। তারা ছিল স্কুলের চতুর্থ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের মধ্যে এখনো ৫০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহায়তায় রোগীদের চিকিৎসা চলছে। কিছু রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দুজনকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে ছুটি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার পর থেকেই স্কুলে জনতার ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিমান বিধ্বস্ত ভবনের আশপাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে, তবে নিরাপত্তারক্ষীরা সাধারণ মানুষকে সীমিতভাবে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার কারণে মানসিক ট্রমায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম।
শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু করাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার মূলত ২০২৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে এগোচ্ছে।
যদিও প্রথমে এপ্রিলের কথা বলা হয়েছিল, বিএনপির আপত্তি ও পরবর্তী আলোচনার পর ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় হিসেবে নির্ধারণ হয়েছে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করেছেন যে ক্ষমতায় দীর্ঘদিন থাকার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
তবে মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সরকার বড় ধরনের চাপে পড়েছে। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুতে জাতি শোকাহত হয় এবং সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উপদেষ্টারা স্কুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন এবং সচিবালয়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
এসবের মধ্যে অনেকে সরকারের দুর্বলতা নিয়ে মন্তব্য করেন।
৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৮ই অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে এবং ছয় মাস ধরে দেশকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।
বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিয়ে কাজ চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে, যা সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।
তবুও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, কারণ কিছু দল নির্বাচন বিলম্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে সরকারের প্রধান লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি সারাদেশে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ব্যাপক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যার মধ্যে বহিষ্কার, পদাবনতি, শোকজ ও অব্যাহতি অন্তর্ভুক্ত।
৫ই অগাস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু মূল দলের ৮০০ জন বহিষ্কার হয়েছেন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলেও শত শত নেতাকর্মী বহিষ্কৃত বা শোকজ হয়েছেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে, এই প্রক্রিয়ায় সঠিক তদন্ত ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, ফলে অনেক ত্যাগী ও নিরপরাধ নেতাকর্মীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অনেকেই জানেন না কেন তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, আবার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও পাননি। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও প্রভাবশালী গ্রুপের বিরোধিতা করে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার আবেদন এসেছে এসব শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য। তদন্তে দেখা গেছে, অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া নেতাকর্মীর হার ১৩ শতাংশের বেশি।
কিছু বহিষ্কৃত নেতা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন ও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তবুও মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন।
এ কারণে অনেকের রাজনৈতিক জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। বিএনপি স্বীকার করেছে, কিছু ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির কারণে নিরপরাধ নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
দল বলছে, তদন্ত চলছে এবং নির্দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হবে।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘USTR invites Bangladesh to resume tariff talks on July 29‘ অর্থাৎ, ‘২৯শে জুলাই বাংলাদেশকে শুল্ক আলোচনা পুনরায় শুরু করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইউএসটিআর’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমানো নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য ২৯শে জুলাই বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, এর আগে বাংলাদেশ ২২শে জুলাই নিজেদের প্রস্তাব পাঠিয়ে ২৬শে জুলাই বৈঠকের তারিখ প্রস্তাব করেছিল, তবে ইউএসটিআর ২৯শে জুলাই নির্ধারণ করেছে।
বৈঠক সরাসরি হলে বাংলাদেশি দল ২৭শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে যাবে, না হলে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন।
সচিব আশা প্রকাশ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের শুল্কহার কমাবে, যেমন তারা জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের জন্য কমিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ৩৫ শতাংশ হলেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মার্কিন তুলা, গম, এলএনজি, বিমান ও কৃষিপণ্যের ওপর শূন্য শুল্ক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত লাখ টন গম আমদানির চুক্তি ইতোমধ্যে হয়েছে। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি শুল্ক কমবে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি খুব কম, প্রায় ছয় দশমিক পাঁচ থেকে ছয় দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।
রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি অনিশ্চিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি শুরু করা হয়েছে, যা বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি। নতুন খসড়ায় আইন ভঙ্গের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১০ লাখ।
স্থায়ী সনদ না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নিয়ম আনা হচ্ছে। সাত বছরের সাময়িক অনুমতির মধ্যে আবেদন না করলে ভর্তি ও কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক লাখ বর্গফুট ভবন এবং পাঁচ একর জমির শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল যথাক্রমে ২৫ হাজার বর্গফুট ও এক একর।
সংরক্ষিত তহবিলও দ্বিগুণ বাড়বে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য আট কোটি, অন্যান্য শহরে পাঁচ কোটি এবং গ্রামীণ এলাকায় তিন কোটি টাকা রাখতে হবে।
ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন আনা হবে। বোর্ডে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ থাকতে হবে এবং সরকারের অনুমোদন ছাড়া বোর্ড পরিবর্তন করা যাবে না।
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের জন্য পিএইচডি, উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
পূর্ণকালীন শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক সংশ্লিষ্ট কোর্সের এক-তৃতীয়াংশের বেশি হতে পারবে না।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার বা শাখা ক্যাম্পাসের জন্য সরকারের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
সংশোধিত আইনে নামের সঙ্গে ‘জাতীয়’ বা ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে তিনটি অনুষদ থাকার শর্ত রাখা হয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Two-thirds of 206 accused absconding‘ অর্থাৎ, ‘২০৬ জন আসামির দুই-তৃতীয়াংশ পলাতক’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ও নিখোঁজের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া ২৭ মামলার ২০৬ আসামির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ পলাতক।
এদের মধ্যে ১২ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও আছেন। এখন পর্যন্ত ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, একজন হেফাজতে মারা গেছেন।
২২টি মামলা জুলাইয়ের গণহত্যা সংক্রান্ত, যেখানে জাতিসংঘের মতে ১,৪০০ জন নিহত ও হাজারো আহত হয়। বাকি পাঁচটি মামলা গুমের অভিযোগে।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর ফাঁস হওয়ায় অনেক আসামি পালিয়ে যায়। অনেকে বিদেশে চলে গেছে।
পুলিশের অনুরোধে ইন্টারপোল শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় রেড নোটিশ জারি হয়েছে।
অভিযোগকারী পরিবারগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, আসামিদের গ্রেপ্তার না হলে বিচার প্রহসনে পরিণত হবে। অভিযোগ আছে, পুলিশের কাছে খুনিদের ঠিকানা দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হয়। আইসিটি-১ ইতিমধ্যে দুটি মামলায় চার্জ গঠন করেছে এবং শিগগির বিচার শুরু হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। আগস্টের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আশা করা হচ্ছে। ছয় মাসের মধ্যে অধিকাংশ মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাজীপুরে মাদক ব্যবসা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। জেলার দুই শতাধিক স্থানে চলছে মাদকের হাট, যেখানে দিনে গড়ে শত কোটি টাকার লেনদেন হয়।
টঙ্গীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন বস্তি যেমন এরশাদনগর, মাজার বস্তি, ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে গড়ে উঠেছে বড় মাদক হাট।
এসব হাটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রভাবশালী নারী কারবারিরা, যারা মাদকের টাকায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন, বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনেছেন এবং স্বামী-আত্মীয়দের ব্যবসায় জড়িয়েছেন।
মাদক কারবারে বাড়ছে অপরাধ। ইয়াবা ও হেরোইনের জন্য আসক্তরা চুরি, ছিনতাই, এমনকি বাবা-মাকেও মারধর করছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বাবা মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা করেছেন।
যদিও পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, অধিকাংশ বড় কারবারি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ছোট কারবারিরা গ্রেপ্তার হলেও দ্রুত জামিনে বের হয়ে আবার ব্যবসায় ফিরছে। মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকলেও গাজীপুরে মাদক কারবার পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এ বছর ডেঙ্গুতে দেশের অবস্থা উদ্বেগজনক। জানুয়ারি থেকে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৭০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৬২৫ জন মানুষ।
এর মধ্যে শহরের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় কিছু ব্যবস্থা থাকলেও বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ না থাকায় কোনো সুফল মিলছে না।
সিটি করপোরেশনের বাইরে তো কোনো কাঠামোই নেই। ফলে ২৫ বছর ধরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর শুরুর দিকে কিছু উদ্যোগ থাকলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা নিয়ন্ত্রণের মতো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব।
এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণের আলাদা বিভাগ গড়ে তুলতে হবে, প্রয়োজনীয় জনবল ও কীটনাশক নিশ্চিত করতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, সঠিক মডেল ব্যবহার করে ডেঙ্গু আগেই অনুমান করা সম্ভব। কিন্তু এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
সরকার বলছে, তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং পরিস্থিতি আগের বছরের তুলনায় ভালো। তবে স্বীকার করছে, সিটি করপোরেশনের বাইরে কোনো স্থায়ী কাঠামো নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হালকাভাবে নিলে বিপদ বাড়বে, তাই দ্রুত সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের জীবন বীমা খাতে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গ্রাহকের আস্থা সংকট চরমে পৌঁছেছে।
বর্তমানে ৩৬টি জীবন বীমা কোম্পানির মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ বীমা দাবি এখনো পরিশোধ হয়নি।
আইডিআরএ’র তথ্যমতে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের বকেয়া দাবির পরিমাণ ছয় হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে চার হাজার কোটি টাকার বেশি এখনো অমীমাংসিত।
আইন অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফারইস্ট ইসলামী লাইফের, যাদের হাতে আটকে আছে প্রায় দুই হাজার ৯১৭ কোটি টাকা।
সানফ্লাওয়ার লাইফ, বায়রা লাইফ, পদ্মা ইসলামী, গোল্ডেন লাইফসহ বেশ কিছু কোম্পানি গ্রাহকের অধিকাংশ দাবিই পরিশোধ করেনি। এদের মধ্যে কারও পরিশোধের হার এক থেকে দুই শতাংশের নিচে।
ভুক্তভোগীরা বছরের পর বছর ধরে টাকা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও পাওনা টাকা না পেয়ে হতাশ।
আইডিআরএ বলছে, অন্তত ১৫টি বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এবং নানাভাবে অর্থ অপচয় ও দুর্নীতি করেছে।
ফলে বীমা খাতের প্রতি মানুষের আগ্রহ দ্রুত কমছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আগে জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ছিল প্রায় এক শতাংশ, এখন তা কমে দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমেছে।
তবে কিছু কোম্পানি নিয়ম মেনে ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ দাবি পরিশোধ করেছে।