Google Alert – আর্মি
এতে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আগামীকাল রোববার থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২০২৪ সালের বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাই পুলিশ কর্মকর্তা কাজী জিয়াউদ্দিন।
এছাড়া, প্রশিক্ষণের সাচিবিক ও কারিগরি দায়িত্বে আনা হয়েছে আওয়ামী আমলে ‘গোপালগঞ্জভিত্তিক সিন্ডিকেটের’ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুনকে।
তাদেরকে এসব দায়িত্ব দেওয়ার খবরে পুলিশের ভেতরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রথম ধাপে সব জেলার পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও ডিপিসহ আনুমানিক ১৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
পরবর্তীতে ধাপে ধাপে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনের আগেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই প্রশিক্ষণের ঘোষিত উদ্দেশ্য হচ্ছে, গত তিন নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে দূরে থেকে পুলিশ বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম করা।
উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ রাখেনি বিএনপি— প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে গঠনের বিষয়টি বিএনপিকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে, বিএনপি তা মানেনি।
সরকার ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩১ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের সময় সরকারের পক্ষ থেকে একজন উপদেষ্টা এ অনুরোধ জানান। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি উত্থাপন করে বিএনপিকে ভেবে দেখতে বলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও উচ্চকক্ষের গঠনপদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, উচ্চকক্ষ হবে ১০০ সদস্যের। নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এই পদ্ধতি নিয়েই বিএনপি ও এনডিএম ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দিয়েছে। তারা চায় নিম্নকক্ষে একটি দল যত আসন পাবে, তার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে এটি হবে নিম্নকক্ষেরই প্রতিচ্ছবি। এভাবে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে অনর্থক এবং অর্থের অপচয়।
সংসদ বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বললেন, উচ্চকক্ষের গঠনপদ্ধতি ও ক্ষমতা নিয়ে ঐকমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা খুবই ভালো। তবে বিএনপি যেভাবে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলছে, তা অযৌক্তিক।
এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ১০টি দেশের নাগরিক সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য, ভিসা বা বৈধভাবে বসবাসের পরিবর্তে যুক্তরাজ্যে পৌঁছে বাংলাদেশিদের ৮৭ শতাংশ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই অবৈধ উপায়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন।
ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতেও রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। চলতি বছরে অন্তত ১৬ হাজার বাংলাদেশির আবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে দেশটির সরকার।
কেবল ইউরোপে নয়, আমেরিকার দেশগুলোয়ও শরণার্থী হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে প্রচুর বাংলাদেশি আবেদন করেছেন।
২০২৪ সালে শুধু কানাডায় আশ্রয় চেয়ে আবেদন পড়ে ১৫ হাজার ৭৩৬টি। আর যুক্তরাষ্ট্রে এ আবেদনের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি।
আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নত দেশগুলোয়ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশীদের আবেদনের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে গত বছর আবেদন করেছেন প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা এ প্রবণতার পেছনে বড় কারণ বলে মনে করেন অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা।
অভিযান আটকে দিলেন দখলদাররা— সমকালের দ্বিতীয় প্রধান খবর এটি।
এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর জমি দখল করে বহুতল ভবন তুলেছেন। আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ শুরু হলে তা আটকে গেছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থে।
গতকাল শুক্রবার সকালে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন নদী দখলদাররা। তার আগে বাধা সত্ত্বেও গত পাঁচ দিনে ৬৩ একর নদীর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল সকালে দখলদাররা এলাকায় গুজব ছড়িয়ে দেন যে, প্রশাসন নাকি বৈধ ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেবে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকশ নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ থাকায় কয়েক যাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি। বাধ্য হয়ে কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা অচলাবস্থার পর র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, অভিযানকে ঘিরে সহিংসতায় দুটি মামলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সর্বোত্তম ও গণতান্ত্রিক উপায় হচ্ছে গণপরিষদ। গণপরিষদ না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলেও জানিয়েছে দলটি।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, বিতর্ক এড়াতে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণপরিষদ হলো সবচেয়ে ভালো উপায়।
অন্যদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটকে প্রাধান্য দিচ্ছে জামায়াত। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেবে দলটি।
গতকাল পর্যন্ত বিএনপি, এনসিপিসহ ২৭টি দল সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে। আগামীকাল রোববার দলগুলোর মতামত নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
এই খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা এবং এই সংস্থায় জনবল নিয়োগের জন্য ‘ইলেকশন সার্ভিস কমিশন’ গঠনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত তাদের প্রচেষ্টাকে ছোট করে দেখায় বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া পাঠায় ইসি।
খসড়ায় ‘নতুন সার্ভিস’ চালু করে কমিশনের প্রশাসনিক স্বাতন্ত্র্য নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হচ্ছে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কবর থেকে তুলে পোড়ানো হয়েছে।
‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন তা করেছে। নুরাল পাগলার দরবার শরীফ ও বাড়িতেও হামলা করেছে তারা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও ঘটেছে। ইউএনও’র গাড়ি, পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় দরবারের এক অনুসারী নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হক আশির দশকের মাঝামাঝি নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ বলে দাবি করেছিলেন। তখন চাপের মুখে তিনি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে আবার তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। তার বেশ কিছু ভক্ত-অনুসারীও রয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
হামলার জন্য গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি। তবে গণঅধিকার পরিষদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। এ কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি গণঅধিকার পরিষদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর একটি অংশ থেকে কিছু লোককে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করতে দেখা যায় প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনটির উল্লেখযোগ্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, গত ২৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ান জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। সেদিনও জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, হামলা-সংঘর্ষের একপর্যায়ে সেদিন গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে গুরুতর আহত হন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের পারকী সমুদ্রসৈকতের পাশে ৭২ একর জায়গায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রাজকীয় অতিথিশালা’ নির্মাণের বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি চালু হয়নি।
যেখানে রয়েছে ৩০টি ভিআইপি বাংলো, ৪৮ ইউনিটের মোটেল মেস, কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট রিসিপশন ভবন, রেস্তোরাঁ, দোকান, জিম, অফিস, কনফারেন্স কক্ষ, জাদুঘর, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ নানা সুবিধা।
এই অতিথিশালার রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিমাসে সরকারকে গুনতে হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
একই অবস্থা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেরও।
মেহেরপুরে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল ভবন তৈরি করা হলেও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
জেলা-উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এমন অনেক স্থাপনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব ভবন।
কখনও ব্যক্তিস্বার্থে আবার কখনও উন্নয়নের আড়ালে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।