Google Alert – ইউনূস
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের আগস্টে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অরাজক পরিস্থিতি, ভঙ্গুর প্রশাসন ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে তুলেছে এই সরকার।
জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা, বিচার কার্যক্রমে অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক সংস্কার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত, অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি কমানোকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বড় ফারাক রয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও ছিনতাই অব্যাহত।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়েনি, বরং বেকারত্ব বেড়েছে। অনেক খাতে দলীয়করণের ধারা বদল না হয়ে শুধু দল পরিবর্তন ঘটেছে।
টিআইবি বলছে, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনি প্রস্তুতিতে অগ্রগতি হলেও সুশাসন, স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনে ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রশাসনে সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়হীনতা আছে।
সরকার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের তিন খাতে বিশেষ জোর দিয়েছে, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, গণহত্যা মামলার বিচার শুরু, গুমবিরোধী চুক্তিতে স্বাক্ষর, নতুন আইন প্রণয়ন এবং রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সংস্কার এজেন্ডা তৈরি করেছে।
অর্থনীতিতে রিজার্ভ বৃদ্ধি, টাকার মানোন্নয়ন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সাফল্য পাওয়া গেলেও জনগণের সব আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয়নি।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘৯০ দিনের ৩৬ দিনই রাস্তা আটকা‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ৯ই মে থেকে ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত ৯০ দিনে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অন্তত ৩৬ দিন অবরোধ হয়েছে, মোট ৫৪ বার রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল ২৬ বার, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৩ বার, চাকরি সংক্রান্ত দাবিতে ছয় বার এবং অন্যান্য কারণে নয় বার।
সবচেয়ে বেশি অবরোধ হয়েছে শাহবাগে, যেখানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে।
এসব অবরোধে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে, রোগী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালের আইসিইউ ও ওয়ার্ডে শব্দদূষণ রোগীদের কষ্ট বাড়াচ্ছে।
ঢাকায় রাস্তার পরিমাণ মাত্র নয় শতাংশ, যেখানে স্বাভাবিক ট্রাফিকের জন্য দরকার অন্তত ২৫ শতাংশ। ফলে যানজট ভয়াবহ, গড় গতিবেগ নেমে এসেছে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটারে।
বিশেষজ্ঞরা গণপরিবহন বাড়ানো, প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বিত পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছেন, কিন্তু উদ্যোগের অভাব রয়েছে।
অনেকেই মনে করেন, সভা-সমাবেশ মাঠ বা খোলা স্থানে, বিশেষ করে ছুটির দিনে হওয়া উচিত এবং সরকারকে কারণে-অকারণে রাস্তা অবরোধে কঠোর হতে হবে।
রাজনৈতিক নেতারাও জনদুর্ভোগ এড়ানোর প্রয়োজন স্বীকার করলেও বাস্তবে পদক্ষেপ কম।
বারবার অবরোধের ফলে ঢাকায় কর্মঘণ্টা, ব্যবসা ও মানুষের দৈনন্দিন জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এক বছর আগে গণ-অভ্যুত্থানের পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক সংকট নিরসন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সংস্কার।
এই সময়ে দেশে সহিংসতা কমে, সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি হয়।
খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি অর্ধেকে নেমে আসে, রফতানি ও রেমিট্যান্সে রেকর্ড হয়, টাকার মান ও রিজার্ভ কিছুটা শক্তিশালী হয়।
বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অগ্রগতি হয়, বড় প্রকল্পে নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা আসে।
রূপান্তর কমিশন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের সুপারিশ দিলেও এখনো আইনি বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি চালালেও মানবাধিকার পরিস্থিতি ও কিছু মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু অভিযোজনে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রাজনৈতিক আস্থার সংকট কাটেনি।
বিরোধী দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এখন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য এখনই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা এবং সংলাপের উদ্যোগ জরুরি।
এক বছরে অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতায় অগ্রগতি এলেও গণতন্ত্র ও সংস্কারে দৃশ্যমান পরিবর্তন না ঘটলে ভবিষ্যতের পথ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।
গত বছরের ৫ই অগাস্ট সহিংস হামলা ও লুটপাটে পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে, যা আজও পুরোপুরি ফেরেনি।
এ সুযোগে অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, বাড়ছে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মব ভায়োলেন্স।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসে ১৪১টি মব হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন।
পুরান ঢাকার সোহাগ হত্যা, কুমিল্লায় নারী ও দুই সন্তানকে হত্যা কিংবা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মতো ঘটনা জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক লাঞ্ছনা, দখল-বাণিজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে জোরপূর্বক বদলের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা মামলা করতেও ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাহিনী এখনো দুর্বল এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কার্যকর কৌশল না থাকায় অপরাধ দমন সম্ভব হচ্ছে না।
সাবেক কর্মকর্তারা মনে করেন, পুলিশ আতঙ্ক নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে, যা অপরাধীদের আরও সাহসী করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেছেন, মব ভায়োলেন্স কিছুটা কমেছে, তবে সমাধানে আলোচনার পথ নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। তাই এখনই সাহসী ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ জরুরি।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Yunus: Govt begins second phase, eyes smooth, credible election‘ অর্থাৎ, ‘ইউনূস: সরকারের দ্বিতীয় ধাপ শুরু, লক্ষ্য হলো সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, সরকারের দ্বিতীয় ধাপ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এবং মূল লক্ষ্য এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে।
সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম একসঙ্গে চলবে। সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অগ্রগতি শিগগিরই জানানো হবে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারটি মামলার বিচার চলছে, ২৭টি তদন্তাধীন ও ১৬টিতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে।
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রায় আট লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন হবে, সেনাবাহিনী ৬০ হাজার সদস্য দেবে।
রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তাবিত সময়সূচি স্বাগত জানিয়েছে।
এ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার ৩১৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ৭৮ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, এটি স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ হার বলে দাবি করা হয়েছে।
মাহেরিন চৌধুরীর নামে শিক্ষা পুরস্কার চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে, গাজীপুর ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বাংলাদেশ’।
জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার নিয়ম করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে।
সরকারের দাবি, অর্থনীতি ও প্রশাসন স্থিতিশীল রয়েছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার চলছে।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Polls schedule likely in early December‘ অর্থাৎ, ‘ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রমজান শুরুর আগে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, তাই প্রায় ৬০ দিন আগে সময়সূচি জানানো হবে।
এ বছর ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন এবং সেপ্টেম্বরে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।
এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য ডাক ব্যয়ে লাগবে চয় থেকে সাত কোটি টাকা এবং ভোট পৌঁছানো ও ফেরত আসতে সময় লাগবে ১৬ থেকে ২৮ দিন।
দেশে ডাক ভোটের সুযোগ থাকবে সরকারি কর্মচারী, ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এবং আটক ব্যক্তিদের জন্যও।
হাসপাতালের রোগী ও কারাবন্দিদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি ২০২৫ চূড়ান্ত হয়েছে, তবে আরপিও সংশোধন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা হবে না।
ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তি রোধে বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে আসা অপপ্রচারও নজরদারি করবে।
সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি বসানোর বিষয়টি ব্যয়বহুল হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী বা গণমাধ্যমের ড্রোন ব্যবহারও নিষিদ্ধ হবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তুতি জোরদার করেছে।
প্রতিটি আসনের জন্য গড়ে তিনজন করে প্রার্থী প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাদের যোগ্যতা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা, নেতৃত্বগুণ, সততা ও দলের প্রতি ত্যাগ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে একাধিক জরিপ হয়েছে, যেখানে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নেতাদের অতীত কর্মকাণ্ডও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বা ব্যক্তিস্বার্থে দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুতি থাকলে প্রার্থীরা তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং পর্যবেক্ষণ দিচ্ছেন।
নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
প্রায় ৭০টি আসন সমমনা দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে, তবে জোট গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।
তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে সক্রিয় হয়েছেন, কারণ বিপুলসংখ্যক তরুণ এবার প্রথমবার ভোট দেবেন।
বিএনপির মহাসচিবসহ অন্তত ৮০ জনের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন চলছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিএনপি মনে করছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। তাই এখন থেকেই তারা পুরো শক্তি নিয়ে নির্বাচনি ময়দানে নেমেছে।
এক বছর আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পরিস্থিতি ছিল বেশ নাজুক।
জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, বিনিময় হারে অস্থিরতা, রিজার্ভের ক্রমাগত ক্ষয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যে (বিওপি) রেকর্ড ঘাটতি, ব্যাংক খাতে নৈরাজ্যসহ নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছিল দেশের অর্থনীতি।
গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরে সামষ্টিক অর্থনীতির এসব সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে খরা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পিছিয়ে পড়া, মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না নামা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে।
শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এ সরকারের এক বছর পূর্ণ হলো আজ।
অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গণমানুষের প্রত্যাশা ছিল বিপুল, সে তুলনায় প্রাপ্তি সামান্যই।
অনেক প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি।
ঘুস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতাসহ দেশের অনেক মৌলিক সংকট আগের মতোই বিরাজমান।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গিয়েছিল, তার অনেকগুলোই গত এক বছরে আলোর মুখ দেখেনি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন।
তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন।
৩১শে জুলাই বিকেলে তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাথ ও দোকান থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন এবং একই রাতে নিজের ফেসবুকে আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি।
এ সময় ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হঠাৎ তাকে ঘিরে ধরে।
তুহিন দৌড়ে একটি মুদির দোকানে ঢুকে বাঁচার চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসীরা চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বাসন থানার ওসি শাহীন খান জানান, হত্যার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করায় প্রতিশোধমূলকভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।