Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
এ খবরে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাদের সবাইকে এবারের নির্বাচনে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
বিশেষ করে পেলিং অফিসারদের সবাইকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি অসম্ভব। তারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার লাখ। দশম ও দ্বাদশ মিলিয়ে এই সংখ্যা পাঁচ লাখের ওপরে হতে পারে।
সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষকদেরই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের বাদ রাখা হলে নির্বাচন কমিশন পোলিং অফিসার সংকটে পড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে যেসব প্রশাসনিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাদের বাদ রাখা যেতে পারে।
প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষেত্রে জেলা ও বিভাগীয় শহর এলাকার আসনগুলোতে বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের একাংশকে বাদ রাখা যেতে পারে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সংখ্যা হতে পারে প্রায় আড়াই লাখ।
আর রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে যারা এখনো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এবার ভোটকেন্দ্রের সঙ্গে ভোটকক্ষ এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সংখ্যাও বাড়বে।
বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে এ খবরে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মিরপুর, উত্তরা, গুলশানসহ ঢাকা নগরীর প্রায় সব স্থানেই প্রতিদিনই ঘটছে ছোট – বড় ছিনতাইয়ের ঘটনা।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজধানীবাসীর কাছে এখন ছিনতাই এক আতঙ্কের নাম। সন্ধ্যা নামলেই তৎপরতা বাড়ে ছিনতাইকারীদের।
সড়কের ফুটপাতে চলার পথে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে নেওয়া হচ্ছে সর্বস্ব। যানবাহন থামিয়েও প্রকাশ্যে ছিনতাই করা হচ্ছে।
ছিনতাইকারীদের চাকু বা খুরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে প্রাণও দিচ্ছেন অনেকে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-রাজধানীর এসব ছিনতাইকারীর বেশির ভাগই পুলিশের তালিকাভুক্ত।
এমনকি কে কোন এলাকায় থাকে, তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে ৯৭২ জন ছিনতাইকারীর সক্রিয় থাকার তথ্য আছে তাদের কাছে।
এরপরও কেন ছিনতাইকারীদের অবাধ বিচরণ এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট সবার।
পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিটের তৈরি তালিকা থেকে পাওয়া গেছে ছিনতাইকারীদের উল্লিখিত তথ্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
লিশের বিশেষায়িত ওই ইউনিটের তালিকায় দেখা গেছে, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারীর অবস্থান তেজগাঁও ও মিরপুর বিভাগে। এ দুটি বিভাগে ৩৮০ ছিনতাইকারীর নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ” আমরা নিয়মিত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করছি। পরে অনেকে জামিনে বের হয়ে একই অপরাধ করছে।”
এ খবরে বলা হয়েছে, থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা আয়োডিন থেরাপি। প্রায় ছয় মাস ধরে দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সরবরাহ করতে পারছে না সরকার।
সাধারণত সার্জারির পর এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের রেডিও আয়োডিনের মাধ্যমে আয়োডিন থেরাপি দেয়া হয়।
লিক্যুইড রেডিও আয়োডিন ও আয়োডিন ক্যাপসুলের মাধ্যমে এ থাইরয়েডের চিকিৎসা হলেও দেশে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে রেডিও আয়োডিন ক্যাপসুলের মাধ্যমে চিকিৎসা।
সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রেডিও আয়োডিন সরবরাহ করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
দেশে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাভুক্ত পরমাণু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধ হয়ে আছে আয়োডিন থেরাপি।
থাইরয়েড ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীদের সার্জারির পর ছয় মাস ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে সার্জারি করা রোগীদের।
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে রেডিও আয়োডিন লিকুইডের মাধ্যমে কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের প্রধানরা জানিয়েছেন, খুব সামান্য পরিমাণ রোগীদের লিকুইডের মাধ্যমে চিকিৎসা চালাচ্ছেন তারা।
তবে, সরকার জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সরবরাহ পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নারীর প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলের আচরণ পশ্চাৎগামী। জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে সচেতনভাবে নারী শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে এ খবরে বলা উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নারীর মনোনয়ন নিয়ে ‘মাছের বাজারের’ মতো দর-কষাকষি করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
কমিশন ও দলগুলোর এই রক্ষণশীল অবস্থানের জন্য ভবিষ্যতে তাদের খেসারত দিতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে।
গতকাল শনিবার প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আগামী নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে কমিশন ও রাজনৈতিক দলের অবস্থান নিয়ে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আশায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য বিলোপে সরকার ব্যর্থ।
নারী আসন ও মনোনয়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ আলোচনায় তারা নারীদেরও রাখার দাবি জানিয়েছেন।
ওষুধ প্রস্তুতকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) উৎপাদন করা ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে বলে এ খবরে বলা হয়েছে।
প্রকারভেদে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য কমানো হয়েছে।
এই তালিকায় অতি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানির ওষুধ ও ভিটামিন রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে আরও পাঁচটি ওষুধের দাম কমানো হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন শাখা থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ওষুধের দাম কমালেন তারা। ১৪০টির মতো ওষুধ উৎপাদন করে ইডিসিএল।
ধীরে ধীরে সব ওষুধের দাম কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ পাবে সরকার। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা আরও বেশি ওষুধ বিনামূল্যে পাবেন।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, “ইডিসিএল উৎপাদিত ওষুধের দাম কমেছে, এটা ভালো উদ্যোগ। এতে সরকারের অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় যদি ইডিসিএল ওষুধের দাম কমাতে পারে, তাহলে বেসরকারি কোম্পানিগুলোও চাইলে কমাতে পারে। কমানোর ব্যবস্থা যদি সরকার করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।”
এ খবরে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছ থেকে বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করছে পাহাড়ে সক্রিয় চারটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন।
ইউপিডিএফ (মূল), ইউপিডিএফ (ডেমোক্র্যাটিক), জেএসএস (মূল) ও জেএসএস (রিফর্মিস্ট) ছাড়াও কেএনএফ (কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট), ওয়াইডিএফ, পিসিপি ও এইচডব্লিউএফের মতো সহযোগী সংগঠনগুলোও এ চাঁদাবাজিতে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আগের বছরগুলোর তুলনায় এ হার প্রায় দেড় গুণ বেশি। আগে বছরে এ চাঁদার পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি রাঙ্গামাটিতে সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে এবং চাঁদাবাজির রসিদ সংগ্রহ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদটিতে।
ব্যবসা থেকে মসজিদ, রসিদে চাঁদার নির্দিষ্ট হার রয়েছে এমন নথিও পাওয়া গেছে বলে খবরটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাংকিংয়ের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক পরিসরে কোন অবস্থানে আছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
প্রতি বছর তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান, পরিস্থিতি ও শিক্ষার মানের উন্নয়ন বা অবনমনের চিত্র সহজেই উঠে আসে।
তবে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এমন কোনো আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত নয়।
ফলে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কেমন তা নিয়মিত জানার বা তুলনা করার সুযোগ নেই।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিপরীতে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার মানের একটি চিত্র উঠে এসেছিল বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সের প্রতিবেদনে।
এ ইনডেক্স অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ১০ বছর দুই মাস শিক্ষাজীবন শেষে অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীতে যা শিখছে তা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ছয় বছরের অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণীর দক্ষতার সমান। এ ইনডেক্সে বাংলাদেশের সর্বশেষ ২০২০ সালের তথ্য রয়েছে।
হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সের আগের সংস্করণের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, দিন দিন বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মানে অবনমন ঘটছে।
ইনডেক্সের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী ওই সময়ে বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ১০ বছর দুই মাস শিক্ষাজীবন শেষে যে দক্ষতা অর্জন করত, তা ছিল আন্তর্জাতিক মানে ৬ বছর ৫ মাস বা সপ্তম শ্রেণীর দক্ষতার সমান।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মানের আরো অবনমন ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( ডাকসু ) নির্বাচন আগামী নয় সেপ্টেম্বর।
এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
বেশির ভাগ ছাত্র সংগঠন এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করলেও কোনো কোনো ছাত্র সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে হল সংসদে কী ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে নাকি হলে নির্দলীয় প্রার্থী থাকবেন এমন প্রশ্নও এসেছে সামনে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, হল পর্যায়ের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তাদের আলাপ – আলোচনা চলছে। এ নিয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত হবে।
তফসিল ঘোষিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজশাহীতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( ঢাবি ) ছাত্র সংগঠনগুলো যদি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করত, তাহলে তাদের মধ্যে মুখোমুখি বিদ্বেষমূলক পরিস্থিতি এবং হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের মতো সিদ্ধান্ত আসত না।
গত বছরের পাঁচ অগাস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগবিহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ।
‘ Equipped to inflict heavy casualties ‘ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার এ শিরোনামের অর্থ ‘ পরিকল্পনা করেই হতাহত করা হয়েছিল।’
এ খবরে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে গণ অভ্যুত্থানে মানুষের ওপর গুলি চালানোর বহু আগেই শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয় বরং ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে নিয়ে পুলিশকে একটি ভারী অস্ত্রশস্ত্রসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
২০২৪ সালের ১৮ই জুলাই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার শেখ হাসিনার ফোন কল ছাড়াও পুলিশের অস্ত্রাগারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা কত ছিল তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সরকারি তথ্যের এই সংবাদে বলা হয়েছে, গণ অভ্যুত্থানের আগের বছরগুলোতে পুলিশ অপ্রাণঘাতী অস্ত্রের তুলনায় প্রায় সাত গুণ বেশি প্রাণঘাতী অস্ত্র মজুদ করেছিল।
আন্দোলন যখন তীব্র হয় তখন পুলিশ তাদের কাছে যা ছিল তা দিয়েই সাড়া দেয়। আর সেসময় তাদের কাছে যেসব অস্ত্র ছিল সেগুলো হত্যার জন্য তৈরি মারণাস্ত্র।
২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পুলিশ দুই দশমিক ৪৯ কোটি পিস প্রাণঘাতী গোলাবারুদ কিনেছে। যা তাদের কেনা ৩০ লাখ ইউনিট অপ্রাণঘাতী রাউন্ডের সাত গুণেরও বেশি।
এগুলোর মধ্যে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটও রয়েছে।
‘ President to pick BB governor from search body candidates ‘ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রথম পাতার এ শিরোনামের অর্থ ” সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাছাই করবেন প্রেসিডেন্ট।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা জোরদার করার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর সদ্য চূড়ান্ত খসড়া সংশোধনীতে গভর্নর নিয়োগের জন্য একটি “দ্বি-স্তর” ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যা বর্তমান রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটির থেকে একটি বড় পরিবর্তন।
সংশোধিত কাঠামোর অধীনে রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গভর্নর নিয়োগ করবেন। যা আরও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।
আইএমএফের সুপারিশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই খসড়া অধ্যাদেশের লক্ষ্য হল কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করা এবং এর শাসনব্যবস্থাকে বিশ্বব্যাপী সেরা অনুশীলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২ এর বলে সরকার অযাচিত প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের উপর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
নতুন ব্যবস্থায় শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
গভর্নরের নিয়োগের জন্য দ্বি-স্তর ব্যবস্থার অধীনে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
অনুসন্ধান কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।