Google Alert – সেনাপ্রধান
টানা ১১ বছর ক্ষমতায় থেকে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদি। এমন সময়েই ভারতীয় সেনাপ্রধানের কাছ থেকে এলো যুদ্ধের সতর্ক বার্তা। তবে এই যুদ্ধ কাদের বিরুদ্ধে—তা সরাসরি না বলায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা, যার মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকেও জড়িয়ে দেখছেন অনেকে।
সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “পরবর্তী যুদ্ধ ধারণার চেয়েও আগে শুরু হতে পারে এবং এটি হবে বড় ধরনের সংঘাত।” তার মতে, শত্রুপক্ষ একক কোনো দেশ নাও হতে পারে, বরং অন্য দেশ থেকেও সহযোগিতা পেতে পারে। তিনি সশস্ত্র বাহিনী, সাধারণ জনগণ এবং বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান।
এদিকে, পাকিস্তানও যেন আগেভাগেই পরিস্থিতি আঁচ করেছে। পাক সেনাপ্রধান আসিম মনির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পুরো বিশ্বের অর্ধেক ধ্বংস করে দেওয়া হবে, এরপর তারাও ধ্বংস হবে—যা মূলত পারমাণবিক যুদ্ধের সরাসরি ইঙ্গিত। তিনি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে সীমানার বাইরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ভেতরে বাইরে বাড়তে থাকা চাপ এবং জনপ্রিয়তার সংকটে পড়লে অনেক সময় আগ্রাসী শাসকরা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধের পথ বেছে নেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহুর মতো উদাহরণও তারা টেনে আনছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি, যেখানে তার অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পাশে রয়েছেন নেতেনিয়াহু।