Google Alert – সেনাপ্রধান
ওভাল অফিসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তার স্যুটে যুদ্ধবিমান আকৃতির একটি পিন দেখা যায়।
এ নিয়ে পাকিস্তানে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। কেউ কেউ মনে করেন, ভারতের বিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবিকে স্বীকৃতি জানাতেই এ প্রতীক বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে বাস্তবে বিষয়টির সঙ্গে পাকিস্তান বৈঠকের কোনো সম্পর্ক নেই। ট্রাম্প ওই পিন আগেই পরে রেখেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য। সেই বৈঠকে মূলত আঙ্কারার কাছে এফ-১৬ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্র তুরস্ককে এফ-৩৫ প্রকল্প থেকে বাদ দিয়েছিল। কারণ, আঙ্কারা রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছিল। মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা ছিল, এতে এফ-৩৫ এর গোপন প্রযুক্তি রাশিয়ার হাতে পৌঁছে যেতে পারে।
এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘তার কিছু জিনিসের দরকার আছে, আমাদেরও কিছু দরকার আছে, আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব। দিনের শেষে আপনারা জানতে পারবেন।’
অন্যদিকে শরিফ ও মুনিরের বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, তারা ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠক করছেন এবং পরে ছবি তুলেছেন। এক ছবিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকেও পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল আলাপে মেতে থাকতে দেখা যায়।
দিনের শুরুতে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনশক্তির প্রশংসা করে বলেন, বিশ্বের নানা দেশের নেতা ও সেনাপ্রধানেরা মার্কিন কারখানা ঘুরে যুদ্ধসামগ্রী কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে তিনি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি।