পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে চীন-তুরস্ককে জড়িয়ে যা বললেন ভারতীয় উপ-সেনাপ্রধান

Google Alert – আর্মি

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

সীমান্তে এক নয়, ‘তিন প্রতিপক্ষের’ বিরুদ্ধে ভারতকে লড়তে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং। তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ হিসাবে পাকিস্তান দৃশ্যমান হলেও নেপথ্যে থেকে চীন এবং তুরস্ক তাদের সাহায্য করেছে।

শনিবার (৫ জুলাই) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর ‘নিউ এজ মিলিটারি টেকনোলজিস’ প্রোগ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ভারতের ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ (কেপাবিলিটি, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং বলেন, চীন পাকিস্তানকে শুধুমাত্র সামরিক সরঞ্জামই দেয়নি, সেগুলোর কার্যকারিতা যাচাইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তান।

অপারেশন সিন্দুর থেকে ভারত কী শিক্ষা নিতে পারে সে বিষয়ে যেমন মত প্রকাশ করেন তিনি, তেমনই কয়েকটা ক্ষেত্রে রাখঢাক না করে সমালোচনাও করতে ছাড়েননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কার্যকর সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে সামরিক সরঞ্জাম সময় মতো এসে পৌঁছায়নি নাহলে, গল্পটা হয়ত একটু অন্যরকম হতো।

তার এই মন্তব্য ঘিরে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। চীনের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীদল কংগ্রেস। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ তুলে বলেন, পাকিস্তানকে সাহায্যের বিষয়ে চীনের ভূমিকা নিয়ে যা এতদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে ‘পাবলিক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডেপুটি আর্মি চিফ উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং।’

পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, এটা সেই চীন যারা পাঁচ বছর আগে লাদাখে স্থিতাবস্থা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাদের ক্লিন চিট দেন।

অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল সিংর ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে এসেছে যা ভারতের মাথায় রাখা উচিত।

পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ উপমন্যু ব্যাখ্যা করে বলেন, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই পাকিস্তানের সঙ্গে চীন তাদের নৈকট্য বাড়িয়েছে এবং সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় সে দেশ যে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে, তা অভিপ্রেতই ছিল। এই অঞ্চলে শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে ভারতকে প্রতিবেশী দেশের পাশাপাশি তাদের সহায়তাকারী দেশগুলোর কথাও ভাবতে হবে।

অন্যদিকে, সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিং, তার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এবং সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফুল্ল বক্সী বলেন, সামরিক সরঞ্জামের সাপ্লাই চেইন সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, সেনাকর্তাদের অনেকেই সে বিষয়ে আগেও বলে এসেছেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সমস্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং অ্যাড্রেস করা দরকার।

উল্লেখ্য, গত মাসে ফ্রাঙ্ক গার্ডনার পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা চীনের কাছ থেকে কতটা সমর্থন পেয়েছে?

উত্তরে মির্জা দাবি করেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, সেখানে তারা নিজস্ব সম্পদই ব্যবহার হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *