চ্যানেল আই অনলাইন
পাকিস্তানে একটি পাঁচ তলা ভবন ধসে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও নয়জন। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার কিছু পরে করাচির লিয়ারি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার (৫ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাসপাতাল প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন; এরমধ্যে পাঁচজন মহিলা এবং আটজন পুরুষ। তিনজন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন। শনিবার আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করতে এবং মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো রাতভর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ আজিজ জানিয়েছেন, ভবনটিতে ১০০ জন পর্যন্ত লোক বাস করত।
ওই ভবনের বাসিন্দা শঙ্কর কামহো (৩০) নামের ওই ব্যক্তি সেসময় বাইরে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে ভবনে ফাটল ধরার বিষয়ে জানতে পারেন এবং স্ত্রীকে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ বিষয়ে তিনি তার প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে গিয়েছিলেন। তখন এক মহিলা তাকে বলেছিলেন ‘এই ভবনটি কমপক্ষে আরও ১০ বছর টিকে থাকবে।’ এরপর তার স্ত্রী ও মেয়ে বের হয়ে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পরে ভবনটি ধসে পড়ে।
বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, ভবনটি একটি সরু রাস্তায় অবস্থিত ছিল, যার কারণে উদ্ধারকারী দলগুলোর জন্য ভারী সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করছেন এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আশপাশের ভবনগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন।
উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে কাজ করা ‘এধি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’র সাদ এধি নামে একজন জানান, এখনও কমপক্ষে আট থেকে ১০ জন আটকা পড়ে থাকতে পারেন। তিনি এটিকে “জীর্ণ ভবন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ওই ভবনের বাসিন্দা জুমহো মহেশ্বরী (৭০) বলেন, তিনি যখন ভোরে কাজে বেরিয়ে যান, তখন তার পরিবারের ছয় সদস্যই প্রথম তলার ফ্ল্যাটে ছিলেন। তার এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তার পরিবারের সবাই আটকা পড়েছে।