Google Alert – সশস্ত্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতা বিপন্নকারী ভারতের অবৈধ ও আইনবহির্ভূত ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। শুক্রবার কোয়েটায় কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ সফরের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাপ্রধান সফরের সময় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসে ভারতের মদদের কথাও তুলে ধরেন। পাকিস্তান সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হয়েছে এবং জাতি এই যুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির আরও বলেন, ভারতের উসকানিমূলক ও আগ্রাসী সামরিক তৎপরতা ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে উঠছে। তবে পাকিস্তানকে কখনোই জোর করে দমন করা যাবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে ভিন্ন পথে ঘোরানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং সংঘাতের পুরো পরিসরে হুমকির মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি। দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সমাধানের ওপর জোর দেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। একই সঙ্গে তিনি আবারও ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন। অপারেশন ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, জাতীয় নেতৃত্বের অধীনে পাকিস্তানের জনগণ মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় একটি ইস্পাতদৃঢ় প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মারকা-এ-হক’-এর সফলতা আমাদের জাতীয় সংকল্প এবং জাতীয় শক্তির সকল উপাদানের মধ্যে পরিপূর্ণ সমন্বয়ের প্রমাণ।
আরও পড়ুন
হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ কী?
হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ বলতে এমন কর্মকাণ্ড বোঝানো হয়, যেখানে কোনো দেশ বা গোষ্ঠী কৌশলগতভাবে পানির প্রবাহ, নদী বা জলসম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশ বা অঞ্চলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বা ক্ষতি করে। এটি এক ধরনের জলসম্পদকে রাজনৈতিক বা সামরিক চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার।