Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং পরবর্তী সংঘর্ষে প্রাণহানি ও পাহাড়ি আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের গাজা উপত্যকার মতো, যেখানে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জাতিগত নিপীড়ন চলছে এবং সব সরকারই এর দায় এড়াতে পারে না।
এ এল আরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা অভিযোগ করেন, পাহাড়ে আদিবাসীদের ওপর হামলার বিচার হয় না, বরং নানা গল্প তৈরি করে অপরাধীদের আড়াল করা হয়।
ডা. মুশতাক বলেন, নারী নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার না হয়ে বরং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উসকানিমূলক ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর মতে, ১৯৯৭ সালের চুক্তি বাস্তবায়নের অভাবে পাহাড়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও আস্থার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
দীপক শীল বলেন, প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয় বরং হামলাকারীদের মদত দিচ্ছে।
নুমংপ্রু মারমা বলেন, শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম ভয়ের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে ধর্ষণ মামলার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত, সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে স্বাধীন কমিশন, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা প্রধান উপদেষ্টাকে পাহাড়ে ন্যায়বিচার ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
