Jamuna Television
স্টাফ করেসপনডেন্ট, শেরপুর:
শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী এলাকায় পায়ে একাধিক গভীর ক্ষত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাহাড়ে পড়ে ছিল একটি বন্য হাতি। হাতিটির সুস্থতায় এগিয়ে এসেছে বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। গাজীপুর সাফারি পার্ক ও প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের যৌথ সহযোগিতায় হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি পাহাড়ে অসুস্থ বন্য হাতিটির চিকিৎসা কার্যক্রম চলে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি বন্য হাতি পায়ে গভীর কয়েকটি ক্ষত নিয়ে তিন পায়ে পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে বন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে হাতির সুস্থতায় উদ্যোগ নেওয়া হয়। গাজীপুর সাফারি পার্ক ও স্থানীয় প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকগণ যৌথ প্রচেষ্টায় প্রথমে ইনজেকশন দিয়ে হাতিটিকে অজ্ঞান করে। পরে ক্ষতস্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আরেকটি ইনজেকশনের মাধ্যমে হাতিটির জ্ঞান ফেরানো হয়। চিকিৎসা শেষে হাতিটি ধীরে ধীরে পাহাড়ের গহীনে চলে যায়।
অসুস্থ বন্যহাতিটির চিকিৎসায় গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
চিকিৎসকরা জানান, হাতিটির অপারেশন সফল হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতিটির আঘাতপ্রাপ্ত পা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সেড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুর সীমান্তে প্রায় ১০০ বন্যহাতি দুটি দলে ভাগ হয়ে জেলার ৩টি উপজেলার পঁচিশ কিলোমিটার বনভূমিতে বসবাস করে আসছে।
/এএস